সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অকথ্য অত্যাচারের কাহিনী আজ গোটা বিশ্ব জানে। চিনের মদতে কীভাবে ইমরান খানের প্রশাসন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভোলবদল করার চেষ্টা করছে তাও অজানা নেই কারও কাছে। এর মধ্যেই পাকিস্তানের স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘৃণা করতে শেখানো হচ্ছে বলে জানালেন বালোচ আন্দোলনের এক নেতা মুনির মেনগাল (Munir Mengal)।
রাষ্ট্রসংঘ (United Nations) -এর একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বালোচ ভয়েস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুনির বলেন, ‘ছোটবেলায় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন খুবই উচ্চমানের সেনা স্কুলে পড়াশোনা করতাম। ক্যাডেট কলেজ নামে ওই স্কুলে যাওয়ার পর প্রথমেই আমাদের শেখানো হয় হিন্দুরা হল কাফের আর খ্রিস্টানরা হল ইসলামের শত্রু। এই জন্য এদের হত্যা করতে হবে। এছাড়া কোনও কারণের দরকার হবে না।’
[আরও পড়ুন: রাজতন্ত্রের অবসানের দাবিতে প্রবল বিক্ষোভের জের, জরুরি অবস্থা থাইল্যান্ডে ]
অতীতে মতো আজও পাকিস্তানে (Pakistan) সেই একই ঘটনা ঘটেছে বলে রাষ্ট্রসংঘে জানিয়েছেন তিনি। এপ্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘পুরনো দিনের মতোও আজই ওই সমস্ত স্কুলে সেনার শিক্ষকরা পড়ুয়াদের হিন্দুবিদ্বেষ শেখাচ্ছে। তাঁদের প্রতি ঘৃণার মনোভাব ছড়াচ্ছে। ছোট ছোট পড়ুয়াদের শিশু বয়স থেকেই বন্দুক ও বোমাকে শ্রদ্ধা করতে শেখানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এইগুলি ব্যবহার করে হিন্দু মায়েদের খুন করতে হবে। না হলে তাঁরা হিন্দু সন্তানের জন্ম দেবে।’
বর্তমানে চিনের মদত অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করার নামে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ইমরানের সরকার স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ওই বালোচ নেতা। সরকারের অনৈতিক কাজের সমালোচনা করলে সাধারণ মানুষকে রাতারাতি গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন। অবিলম্বে রাষ্ট্রসংঘ এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পাকিস্তানে মৌলবাদীরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকে ধ্বংস করে দেবেও বলেও আশঙ্কা তাঁর।