অরূপ বসাক, মালবাজার: করোনায় স্তব্ধ হয়েছিল গোটা দুনিয়া। থেমে গিয়েছিল স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ও। অতিমারির দিন কাটিয়ে উঠলেও তার প্রভাব এখনও রয়ে গিয়েছে। করোনার ধাক্কায় বড় ক্ষতি হয়েছে খুদেদের পড়ালেখায়। অক্ষরজ্ঞান হলেও, গড়গড় করে রিডিং পড়তে পারে না অনেকেই। তথৈবচ অবস্থা বাংলা-ইংরেজি উচ্চারণের। সেই ত্রুটি শোধরাতেই এবার স্কুলে-স্কুলে পালিত হচ্ছে ‘রিডিং ফেস্টিভ্যাল’ বা পঠন উৎসব।
কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে উত্তরের বহু জেলা। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মালবাজারের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে চলছে কবিতা পাঠ। শুধু কবিতা নয়, রয়েছে গল্পও। সবমিলিয়ে কার্যত উৎসবের মেজাজ উত্তরের জলপাইগুড়ি জেলার এই ব্লকের স্কুলগুলিতে। এই উৎসবের নামই দেওয়া হয়েছে ‘রিডিং ফেস্টিভ্যাল’।
[আরও পড়ুন: দালালরাজ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নয় কেন? সাগর দত্তের অধ্যক্ষকে ‘ধমক’ মদনের]
স্কুলে খুদে পড়ুয়াদের বর্ণ, শব্দ, বাক্যকে গঠন, উচ্চারণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মূল লক্ষ্যই হল পড়ুয়াদের শুদ্ধ উচ্চারণ। তাদের পাঠে সড়গড় করা। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মাল সার্কেলের আধিকারিক বনশ্রী দাসের নেতৃত্বে শিক্ষাদপ্তর এই রিডিং ফেস্টিভ্যালের তদারকি চলছে। মালবাজার চক্র সম্পদ কেন্দ্রের কর্মী জয়তী চক্রবর্তীর কথায়, “শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশে প্রাইমারি স্কুলগুলিতে এই রিডিং ফেস্টিভ্যাল করতে বলা হয়েছিল। খুদে পড়ুয়াদের পাঠে সড়গড় করতেই স্কুলগুলিতে এই কর্মসূচি চলছে।”
করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব পড়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহের জন্য গরমের ছুটিও দীর্ঘায়িত হয়। ফলে পড়াশোনায় ঘাটতি থাকছে অনেকটাই। সেই ঘাটতি মেটাতেই এই উদ্যোগ। দক্ষিণ ওদলাবাড়ির ভারত সেবাশ্রম প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা লিপি দাস বলেন, “শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পড়ার ক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পড়ুয়ারা উৎসাহ সহকারে রিডিং ফেস্টিভ্যাল উৎসবে শামিল হয়েছে। এতে ছাত্রছাত্রীরা স্পষ্টভাবে সমস্ত শব্দ উচ্চারণ করতে পারছে।”