সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কালীপুজো, দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। আতসবাজির উৎসব। আর রাত ফুরোলেই হেমন্তের কুয়াশার সঙ্গে জড়াজড়়ি করে থাকা ধূলিকণার চাদর। জ্বলতে থাকে চোখ। নিশ্বাস নিতে গেলে বন্ধ হয়ে আসে নাক-গলা। বাড়ে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমার সমস্যা। কিন্তু এবার উধাও কলকাতার সেই চেনা ছবি। কালীপুজোর রাত পেরিয়েও তিলোত্তমার বাতাস কিন্তু অনেকটাই দূষণমুক্ত!
দেশের অন্যান্য মেট্রো শহরের তুলনায় অনেকটাই ভাল কলকাতার বাতাসের গুণমান। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মনিটরিং স্টেশন থেকে বাতাসের গুনমান মাপা হয়েছে মঙ্গলবার সকালে। তাতে দেখা যায়, কলকাতার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ৩২। অর্থাৎ তিলোত্তমার বাতাসের গুনমান সূচক ৩২। যার অর্থ কালীপুজোর পরদিনও বাতাসের গুনগত মান রয়েছে বেশ ভালই। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজ্য প্রশাসন এবার হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে বাজি বিক্রি ও পোড়ানোর উপর কড়া নজর রেখেছিল। যার ফল মিলল হাতেগরম। তবে অনেকে বলছেন, সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টির জেরেই এবার পরিবেশ দূষণ অনেকটাই কম হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ৫০ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ, ২০২৪ লোকসভার আগেই খুলবে অযোধ্যার রাম মন্দির, জানাল ট্রাস্ট]
কলকাতার তুলনায় দেশের অন্যান্য শহরের বাতাসের গুনমান পড়েছে অনেকটাই। রাজধানী দিল্লির বাতাসের গুনমান সূচক ছিল দুশোরর উপর। যার অর্থ দিল্লির বাতাসের অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। পিছিয়ে নেই মহারাষ্ট্রের নভি মুম্বই (২১৭), বান্দ্রা (২২৩)। তুলনামূলক ভাল অবস্থা পুণের (১৩২)। কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু বাতাসের গুনমান সূচক ছিল ২৪৪। সবমিলিয়ে আতসবাজির ঝাঁজে জ্বলছে মেট্রো শহরগুলি। সুপ্রিম কোর্টের তরফে বারবার সতর্ক করা হলেও কোনও লাভ হয়নি।
কালীপুজো (Kali Puja), দীপাবলিতে পরিবেশ দূষণ রুখতে ও ভারসাম্য বজায় রাখতে সবুজ বাজির (Green Cracker) উপরে জোর দিয়েছেন পরিবেশবিদরা। বাংলায় সবুজ বাজি বিক্রি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গেই দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নজরদারির দায়িত্ব দিয়েছিল হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। দায়িত্ব সামলানোর কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান, পেশো ও নিরিও। কেন্দ্রীয় সরকারের দু’টি আলাদা সংস্থা খতিয়ে দেখবে কোনগুলো পরিবেশবান্ধব বাজি।