সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বড় আকারের এক গ্রহাণু (Asteroid)। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারই পৃথিবীর পাশ গিয়ে চলে যাওয়ার কথা অতিকায় গ্রহাণুটি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রহাণুটি গিজার পিরামিডের চেয়েও বড়!
এখনও পর্যন্ত টেলিস্কোপে যতটা দেখা গিয়েছে, তা থেকে মনে করা হচ্ছে ৭২ থেকে ১৬০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে অ্যাস্টেরয়েড ২০২১ এসএম৩ নামের ওই গ্রহাণুটির ব্যাস। সেটির গতি অত্যন্ত বেশি। প্রতি ঘণ্টায় ৫৬ হাজার ৯১৬ কিমি গতিবেগে ছুটে আসছে সেটি।
[আরও পড়ুন: ফুরিয়ে যাবে অক্সিজেন, হারিয়ে যাবে পৃথিবীর অধিকাংশ প্রাণই! আশঙ্কা গবেষকদের]
সাধারণত এই ধরনের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের সম্ভাবনা কমই থাকে। যদিও কখনও কখনও অন্য গ্রহের সঙ্গে মহাকর্ষীয় টানের কারণে তারা আচমকাই অনেকটা কাছে চলে আসে। তবে এই গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্ব ১.৩ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল মাইলের মধ্যে থাকায় এটিকে ‘নিয়ার আর্থ অ্যাস্টরয়েড’ তথা NEA হিসেবে ধরা হচ্ছে। ফলে এটির দিকে গোড়া থেকেই আলাদা করে লক্ষ রাখছিলেন বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহাণু থেকে আদৌ কি কোনও ভয়ের কারণ রয়েছে? এব্যাপারে অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের কোনও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
প্রসঙ্গত, এই ধরনের আগন্তুক গ্রহাণু অতীতে বহুবার পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনেও এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক অতীতে বহুবারই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা জল্পনা ও গুজব শোনা গিয়েছে।
গত কয়েক মাসে গ্রহাণু নিয়ে নানা আলোচনা শোনা গিয়েছে। কেবল সেগুলির নিরীক্ষণ করাই নয়, গ্রহাণুর পাথুরে শরীর থেকে উপাদান সংগ্রহের চেষ্টাও চলছে। পাশাপাশি নাসার পরিকল্পনা রয়েছে কোনও গ্রহাণুকে ধাক্কা মেরে সেটির গতি কমিয়ে দেওয়ার।