অংশুপ্রতীম পাল, খড়গপুর: দাঁতের চিকিৎসায় ন্যানো আয়তনের রোবট আবিষ্কার করে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনলেন খড়গপুর আইআইটির প্রাক্তনী অধ্যাপক অম্বরীশ ঘোষ ও তাঁর সহকারীরা। তিনি বর্তমানে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।
খড়গপুর আইআইটি (IIT Kharagpur) থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান ১৯৯৭ সালে। তারপরে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে (Harvard University) পিএইচডি করেন। অধ্যাপক অম্বরীশ ঘোষ ও তাঁর সহকারীরা দীর্ঘ প্রচেষ্টায় প্রমাণ করেছেন ন্যানো আয়তনের রোবট দাঁতের গভীরে থাকা ব্যাকটিরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম। আর এই রোবট দাঁতের গভীরে ক্ষুদ্র নলের মধ্যে থাকা ব্যাকটিরিয়াই যে ধ্বংস করতে সক্ষম হবে শুধু তা নয়, এই রোবট কৌশলে চুম্বকীয় ক্ষেত্র ব্যবহার করে দাঁতের রুট ক্যানাল চিকিৎসায় সাফল্য দেখাতে পারবে। বর্তমানে দাঁতের ক্ষত ও ব্যাকটিরিয়া ধ্বংসের চিকিৎসায় রুট ক্যানাল পদ্ধতি অত্যন্ত পরিচিত। কিন্তু বর্তমানে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সাফল্য অনেক ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না।
[আরও পড়ুন: অর্জুন সিং তৃণমূলে ফিরতেই বড়সড় বদল বারাকপুরের দলীয় সংগঠনে, নয়া দায়িত্ব পাচ্ছেন শুভেন্দু!]
কিন্তু এই ন্যানো রোবট আবিষ্কর্তারা দাবি করেছেন, চুম্বকীয় ক্ষেত্র ব্যবহার করে এই রোগ নিরাময় পুরোপুরি সম্ভব। আগে বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা রুট ক্যানাল চিকিৎসায় অল্প পরিমাণ কম্পন তৈরি করে ভিতরের লালার মাধ্যমে জমে থাকা ব্যাকটিরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু ধ্বংস করতেন। যদিও এতে ব্যাকটিরিয়া পুরোপুরি ধ্বংস হয় না। কারণ এই পদ্ধতিতে ৮০০ মাইক্রো মিটার পর্যন্ত পৌঁছনো সম্ভব হত। কিন্তু ন্যানো রোবট দুই হাজার মাইক্রো মিটার পর্যন্ত গভীরে যেতে সক্ষম। আর এই ন্যানো রোবট ব্যবহার অত্যন্ত নিরাপদ ও কার্যকর বলে দাবি করেছে গবেষকদের দল।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য দেবায়ন দাশগুপ্ত বলেছেন, “বাজারে আর অন্য কোনও প্রযুক্তি এই কাজ সঠিকভাবে করতে পারবে না।” আর অধ্যাপক অম্বরীশ ঘোষ বলেছেন, “চিকিৎসার কাজে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছি।”