shono
Advertisement

নিয়ম ভেঙে ‌বিপাকে ফ্লিপকার্ট–পতঞ্জলি, ধরানো হল শোকজ নোটিস

বিপাকে পড়েছে আরও কয়েকটি সংস্থা।
Posted: 03:05 PM Oct 14, 2020Updated: 09:55 PM Oct 14, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:‌ বিপাকে বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি এবং ই–কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট। দূষণ সংক্রান্ত নিয়মভঙ্গ করায় দুই সংস্থাকে এবার নোটিশ পাঠাল কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ বা CPCB। প্লাস্টিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ (সংশোধিত) ২০১৮, আইনের ধারাগুলি মেনে না চলার কারণেই রামদেবের পতঞ্জলি পেয়া এবং ফ্লিপকার্টকে শো–কজের নোটিসটি পাঠানো হয়েছে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল বা NGT–কে একথা জানিয়েছে সিপিসিবি। শুধু তাই নয়, এই দুই সংস্থার নাম এখনও কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদে নথিবদ্ধ করা নেই। তাই কেন ভারতে তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করা হবে না, এই প্রশ্নও করা হয়েছে ওই নোটিসে।

Advertisement

ওই নোটিসে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ আরও জানিয়েছে, শুধু পতঞ্জলির পেয়া বা ফ্লিপকার্ট নয়, নিয়ম ভেঙেছে আরও বেশ কয়েকটি সংস্থা। এগুলো হল– হিন্দুস্তান কোকাকোলা বেভারেজেস লিমিটেড (‌Hindustan Coca-cola Beverages Pvt Ltd)‌‌, পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিটেড (‌Pepsico India Holding Pvt Ltd)‌, বিসলেরি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড (‌Bisleri International Pvt Ltd)‌ এবং মেসার্স নৌরিশকো বেভারেজেস লিমিটেড (‌Ms NourishCo Beverages Ltd)‌। এরা কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদের অন্তর্ভুক্ত হলেও তাঁদের দেওয়া তথ্য অসম্পূর্ণ। ‘এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসার রেসপনসিবিলিটি (ইপিআর) লায়াবিলিটি’র আওতায় তাদের ‘অ্যাসেসমেন্ট অফ ইমপ্লিমেন্টেশন’ এর অ্যাকশন প্ল্যানের বিস্তারিত তথ্য তাঁরা জমা দেয়নি। যে যে নথি তাদের তরফে দেওয়া হয়েছে, তাতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে দেওয়া বাধ্যতামূলক শংসাপত্রও নেই। যার পরিপ্রেক্ষিতে এই সংস্থাগুলিকেও শো–কজ নোটিস পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন:‌ জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়ের জের, ৭টি জোনে ভাগ করে সৌন্দর্যায়ন শুরু রবীন্দ্র সরোবরে]

এদিকে, ফ্লিপকার্ট বিতর্কে জড়ালেও তাদের প্রতিপক্ষ ‘অ্যামাজন সেলার সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড এবং কোকাকোলা ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, পার্লে অ্যাগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড, আইআরসিটিসি কিন্তু প্লাস্টিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ (সংশোধিত) ২০১৮ আইন মেনেই ব্যবসা করছে বলে এনজিটি’‌কে জানিয়েছে সিপিসিবি কর্তৃপক্ষ। তবে প্রতি তিনমাস অন্তর এই সংস্থাগুলোকে তাঁদের রিপোর্ট জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন:‌ বাঁচল আরে বনভূমি, বিতর্কিত মেট্রো কারশেড সরানোর নির্দেশ মহারাষ্ট্র সরকারের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement