সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্ধযুগ পেরিয়ে এখনও সক্রিয় চন্দ্রযান-২! বছর ৬ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর এই মিশন কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল। চাদঁরে মেরুতে 'সফট ল্যান্ডিং'-এর সময় ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু রাডারটি এখনও সক্রিয়। সেই শক্তিশালী রাডারের পাঠানো উচ্চমানের বেশ কিছু ছবি এসেছে ইসরোর কন্ট্রোল রুমে। তাতে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের মেরু অঞ্চলের জমাট বাঁধা বরফ এবং মৃত্তিকার ছবি ধরা পড়েছে। আহমেদাবাদের স্পেস অ্যাপ্লিকেশনস সেন্টারে এখন সেসব ছবি নিয়ে নিবিড় কাটাছেঁড়া চলছে। বিজ্ঞানীদের আশা, এসব থেকেই চাঁদের মেরু সম্পর্কে অজানা তথ্য পাওয়া যাবে এবং ভবিষ্যতে চন্দ্রাভিযানে তা সাহায্য করবে।
২০১৯ সালে চাঁদের মেরু সম্পর্কে তথ্য পেতে চন্দ্রযান- ২ পাঠানো হয়েছিল। সেই মিশন সফল না হলেও চন্দ্রযানের অরবিটারটি এখনও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে হাই রেজোলিউশনের ছবি পাঠাচ্ছে। আর তা বিশ্লেষণ করে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ সম্পর্কে অনেক ধারণা স্পষ্ট হচ্ছে বিজ্ঞানী মহলের। তবে প্রয়োজন আরও বিশদ গবেষণা। সেই কাজেও নিরন্তর সাহায্য করে চলেছে ওই অরবিটার। সম্প্রতি ইসরোর ওই মিশনের ডুয়াল ফ্রিকোয়েন্সি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডারে ধরা পড়েছে চাঁদের প্রথম পূর্ণ পোলারোমেট্রিক ছবি। সেসব খুঁটিয়ে দেখে বিজ্ঞানীদের দাবি, ওইসব ছবি চাঁদের উপরিতলের জমির ঠিক কেমন, সে সম্পর্কে প্রায় নিখুঁত তথ্য দিতে সক্ষম।
ইসরো বিজ্ঞানীদের মতে, অন্তত ১৪০০ রাডারের মাধ্যমে আসা তথ্য বিশ্লেষণ করে চাঁদের দুই গোলার্ধ্ব সম্পর্কেই তথ্য জানা গিয়েছে। তা থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠের ভূপ্রাকৃতিক গঠন, তাতে জলভাগ (যদি কিছু থেকে থাকে), রুক্ষতা সম্পর্কে অনেকটা বিস্তারিত তথ্য তাঁরা জানতে পেরেছেন। চাঁদের গর্ভ কোন কোন খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ, তাও স্পষ্ট হচ্ছে ধীরে ধীরে। সামগ্রিকভাবে চন্দ্রযান-২'র অরবিটার আগামীর চন্দ্রযান অভিযানের পরিকল্পনায় অনেকটা সাহায্য করবে বলেই মনে করছে বিজ্ঞানী মহল। বিশেষত এতদিন অন্ধকারে থাকা চন্দ্রমেরু এবার গবেষণার আলোয় আসবে।
