সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকাশ প্রযুক্তির জগতে ঐতিহাসিক সাফল্যের মুখ দেখল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। তাদের পাঠানো DART তথা লক্ষ্যবস্তুর আঘাতে টার্গেট করা গ্রহাণুর গতিপথ বদলে গিয়েছে। গতিশক্তির প্রমাণ দিয়েছে নাসার পাঠানো লক্ষ্যবস্তুটি। এমনই দাবি নাসার প্রধান বিল নেলসনের। তিনি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, “আমাদের গ্রহের প্রতিরক্ষা ও মানবজাতির সাফল্যের পথে এ এক মোড় ঘোরানো মুহূর্ত।”
কী এমন হয়েছে মহাকাশে? গত মাসের শেষে ছোট কিন্তু শক্তিশালী মহাকাশযানের সাহায্যে ধাক্কা দেওয়া হয় ডিম্বাকৃতি একটি গ্রহাণুকে (Asteroid)। পরীক্ষামূলকভাবে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। ভবিষ্যতে যাতে কোনও অতিকায় গ্রহাণুর পৃথিবীর উপরে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হলে সেটিকে প্রতিহত করা যায়, তা নিশ্চিত করতেই এই পরীক্ষা করে নাসা। মিশনটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডার্ট’ মিশন। লক্ষ্য ছিল পৃথিবী থেকে ৯০ লক্ষ কিলোমিটার দূরের গ্রহাণুতে আঘাত হানা। ওই মহাকাশযানে একটি ক্যামেরাও রয়েছে। যানটি কেবল স্বয়ংক্রিয় ভাবে ১৬০ কিমি চওড়া ডাইমেরফস নামের গ্রহাণুটিকে শনাক্তই করেনি। শেষ পর্যন্ত এগিয়ে গিয়েছে সেটিকে লক্ষ্য করে। এরপর ঘণ্টায় ১৪০০ মাইল বেগে গ্রহাণুটির শরীরে আছড়ে পড়েছে। আর তাতে তৈরি হওয়া বিপুল গতিশক্তির জেরে গ্রহাণু ডাইমরফোসের গতিপথও (Orbit) বদলে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ট্রেন থেকে ১২ লক্ষ টাকার সোনার গয়না লুট কাঁকিনাড়ায়, সর্বস্ব খুইয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা প্রৌঢ়ের]
৩৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে সাত বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ডার্ট মিশনকে সফল করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে, আমাদের গ্রহকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে এই প্রযুক্তির প্রয়োগ আগামী দিনে খুব বড় ভূমিকা নেবে। কখনও কোনও মহাজাগতিক বস্তু (Celestial Body) পৃথিবীকে লক্ষ্য করে ধেয়ে এলে যাতে বাঁচানো যায়, তার জন্যই এই ডার্ট ছোঁড়া হয়েছিল। আক্রমণকারীর গতিপথ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে পারলে পৃথিবীকে রক্ষা করা সম্ভব। আর সে পথেই ধীরে ধীরে এগোচ্ছে নাসা। প্রথম মিশনের সাফল্যে এই গবেষণায় আরও উৎসাহ জোগাল, তা বলাই বাহুল্য।