সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মাংসখেকো’ ব্যাকটেরিয়া (Bacteria)। শুনতে অনেকটাই ‘সোনার পাথরবাটি’ প্রবাদটি মনে পড়ে যেতে পারে। কিন্তু সত্য়িই এমন এক আদ্যপ্রাণীর সন্ধান মিলেছে মার্কিন মুলুকে। তাদের সংক্রমণের মাত্রা এমনই ভয়াবহ যে প্রচণ্ড কষ্ট পেতে হয় আক্রান্তকে। কখনও কখনও এক থেকে দু’দিনের মধ্যেই মারাও গিয়েছেন রোগীরা।
কিন্তু কী এই ‘মাংসখেকো’ ব্যাকটেরিয়া? আমেরিকার ‘সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অফ দ্য ইউনাইটেড স্টেটস’ জানিয়েছে, এই ব্যাকটেরিয়ার নাম ভিব্রিও ভালনিফিকাস। যার দ্বারা আক্রান্ত হলে সেই ব্যক্তিকে অত্যন্ত যত্ন করতে হবে। তেমন হলে আক্রান্ত অঙ্গটিকে শল্য চিকিৎসা করে বাদও দিয়ে দিতে হবে। দেখা যাচ্ছে, আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জনে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে এক থেকে দুই দিনের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: ছাত্রীদের বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন দিতে হবে, কেন্দ্রকে নীতি প্রণয়নের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
কিন্তু কেন এই প্রাণীগুলিকে ‘মাংসখেকো’ বলা হচ্ছে? আসলে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রেই সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট ক্ষতের আশপাশের মাংস ক্ষয়ে গিয়েছে প্রবল সংক্রমণের ধাক্কায়। যা দেখে বহু মিডিয়ার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যাকটেরিয়াগুলি ‘মাংসখেকো’।
‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ নামের এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত এক গবেষণাপত্র। সেখানে ১৯৮৮ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ১ হাজার ১০০ ক্ষতের সংক্রমণ নিয়ে গবেষণার কথা বলা হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে ওই ব্যাকটেরিয়ার কথা। গবেষকদের আশঙ্কা, আমেরিকার পূর্ব উপকূলেই মূলত এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান মিলেছে। ২০৪১ থেকে ২০৬০ সালের মধ্যে নিউ জার্সি ও নিউ ইয়র্কেও এই ব্যাকটেরিয়ার দাপট দেখা যাবে বলে আশঙ্কা গবেষকদের।