সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউডের তুমুল জনপ্রিয় সিনেমা 'কই মিল গ্যায়া'র জাদু চরিত্রটির গুরুত্বই ছিল আলাদা। তেমন কেউ এ বিশ্বে আছে কি না, তা নিয়ে জোর আলোচনায় মেতেছিলেন কল্পবিজ্ঞান প্রেমীরা। পৃথিবীর বাইরে এলিয়েন বা ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে বরাবর। আদৌ কি তারা আছে? নাকি সবটাই কল্পনা? এনিয়ে তর্কবিতর্ক থামার নয়। আর সেই বিতর্ককেই যেন আরও উসকে দিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ। এক সাক্ষাৎকারে তাঁর মন্তব্য, এলিয়েনরা থাকতেই পারে বড় সময়ের পরিসরে। অর্থাৎ সমসময়ের চেয়ে ২০০ বছর পিছিয়ে অথবা ১০০০ বছর এগিয়ে যে সভ্যতা রয়েছে বলে মনে করা যেতে পারে, সেখানেই হয়ত এলিয়েনদের বসবাস!
ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ (S Somanath) সম্প্রতি পডকাস্ট চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে এলিয়েন (Aliens) সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়। তার বেশ চমকপ্রদ জবাবও দেন এস সোমনাথ। তাঁর কথায়, ''এলিয়েনরা এই ব্রহ্মাণ্ডেই থাকতে পারে। ধরে নিন, একটা সভ্যতা রয়েছে, যা আমাদের সভ্যতার চেয়ে ২০০ বছর পিছিয়ে। আবার আরেকটি সভ্যতা, যা হাজার বছর এগিয়ে। এখন এই দুয়ের যে কোনওটিতেই এলিয়েনরা থাকতে পারে।'' ভিনগ্রহী সম্পর্কে তাঁর আরও ধারণা, ''হয়ত তারাই আমাদের চেয়ে এগিয়ে। তাদের প্রযুক্তি হয়ত আমাদের চেয়ে উন্নত। যার কাছাকাছি আমরা পৌঁছতে পারিনি।''
[আরও পড়ুন: রেল লাইনে মাথা রেখে ‘মরণ ঘুম’! ট্রেন থামিয়ে ‘কুম্ভকর্ণ’কে জাগালেন চালক]
'কই মিল গ্যায়া' সিনেমায় তো 'জাদু'র সঙ্গে রোহিত-রূপী হৃতিকের (Hrithik Roshan) বেশ বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে কি তেমনটা সম্ভব? যদি কখনও এলিয়েনদের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়ে যায়, কেমন হতে পারে সেই সাক্ষাৎপর্ব? তাতে অবশ্য মোটেই খুব একটা স্বস্তি বোধ করছেন না ইসরো (ISRO) প্রধান। তাঁর সাফ কথা, ''যদি সেই ভিনগ্রহীরা সভ্যতা ও প্রযুক্তির দিক থেকে আমাদের থেকেও উন্নত হয়, তাহলে তাদের মুখোমুখি হওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। তারা হয়ত আমাদের ইতর বিশেষ মনে করবে এবং দমিয়ে রাখতে চাইবে। তাই আমি চাই না, কখনও তাদের সঙ্গে আমাদের দেখা হোক।''
[আরও পড়ুন: ‘ক্রিকেটেই সুন্দর, রাজনীতিতে নয়’, নজির গড়া শাকিবের পাশে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা]
সোমনাথের আরও বক্তব্য, ২০০ বছর পিছিয়ে থাকা কিংবা হাজার বছর এগিয়ে থাকা সভ্যতা - এই দুটি পরিসরই আমাদের প্রযুক্তিতে (Technology) উপলব্ধ নয়। ফলে এলিয়েনদের অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব নিয়ে খুব নিশ্চিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে মনে করছেন ইসরো প্রধান।