সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজকের দিনে হৃদরোগে (Heart disease) আক্রান্ত হওয়ার কোনও বয়স নেই। যে কোনও বয়সেই আচমকা মৃত্যুদূত হয়ে হানা দিতে পারে হৃদয়ের অসুখ। আর সেই অসুখে বড় ক্যাটালিস্ট হয়ে দেখা দেয় উচ্চ রক্তচাপ। ফলে অন্যান্য পরীক্ষার মতো নিয়মিত রক্তচাপের (Blood Pressure) হিসেব রাখাও দরকার। কিন্তু চিকিৎসাকেন্দ্রের বাইরে সব সময় সঠিক পদ্ধতিতে রক্তচাপ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। আর সেই সমস্যাকে উড়িয়ে দিতেই এবার এসেছে ট্যাটু। হ্য়াঁ, এই ট্যাটুই আপনাকে জানিয়ে দেবে আপনার সঠিক রক্তচাপ। তবে এই ট্যাটু চেনা ট্যাটু নয়, ইলেকট্রনিক ট্যাটু।
ট্যাটু আজকের দিনে নতুন প্রজন্মের কাছে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে উঠেছে। কিন্তু স্রেফ ফ্যাশন নয়, এমনই গুরুত্বপূর্ণ কাজও এবার করে দেবে ট্যাটু! এই সংক্রান্ত প্রোজেক্টের অন্যতম গবেষক ডেজি আকিনওয়ান্ডে এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ”শারীরিক পরিস্থিতি নির্ধারণে রক্তচাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু চিকিৎসাকেন্দ্রের বাইরে সেটার পরিমাপ করার সুযোগ বেশ কম।”
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগেই বিরোধী শিবিরে ভাঙন! দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের পথে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী]
এমনিতে রক্তচাপ মাপার যে প্রচলিত পদ্ধতি তাতে সিঙ্গল ডেটা পয়েন্ট অনুসারে রক্তচাপের পরিমাণ পরিমাপ করা হয়। কিন্তু এই ট্যাটুতে লাগাতার মনিটরিং করে যাওয়া সম্ভব হবে। সে আপনি ঘুমোন, ব্যায়াম করুন কিংবা অন্য কাজে ব্যাস্ক থাকুন। এই প্রকল্পের অন্যতম গবেষক রুজবে জাফরি জানাচ্ছেন, ”রক্তচাপ মাপার ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হল, নিয়মিত তা জরিপ না করা। সেক্ষেত্রে কিন্তু শরীর কতটা সুস্থ তা বোঝা যায় না।” আর এই সমস্যা সমাধান করতেই এই ‘ট্যাটু’ ইলেকট্রোডের উদ্ভাবন। তেমনই দাবি গবেষকদের। কী ভাবে কাজ করে এই ট্যাটু? প্রথমেই ত্বকে একটি বিদ্যুৎপ্রবাহ ইনজেক্ট করিয়ে দেওয়া হয়। তারপর তার সাহায্যে যন্ত্রটি নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করতে থাকে।
ইদানীং স্মার্টওয়াচের সাহায্যে শরীরের বহু হিসেবনিকেশ করে ফেলা যায়। কিন্তু ওই যন্ত্রের লাইট সেন্সর দিয়ে রক্তচাপ মাপা যায় না। ফলে ইলেকট্রনিক ট্যাটু অপরিহার্য ও অচিরেই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।