shono
Advertisement

কারখানার বর্জ্যকে ব্যবহারযোগ্য করে বাজারে বিক্রি, কমবে দূষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান

প্রশিক্ষণে হায়দরাবাদ গেলেন বাংলার ৩০ আধিকারিক।
Posted: 04:17 PM Feb 29, 2024Updated: 04:17 PM Feb 29, 2024

নব্যেন্দু হাজরা: কল-কারখানা থেকে বেরনো কঠিন বর্জ‌্যে বাড়ছে দূষণ। এবার এই বর্জ্য পদার্থগুলোকেই প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। যার মাধ‌্যমে ব‌্যবহারযোগ‌্য জিনিস তৈরি করবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তর (এমএসএমই)। অত‌্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ছোট ছোট সংস্থা এই কাজ করতে পারবে। একইসঙ্গে সেখানে তৈরি পণ্যগুলো খোলা বাজারে বিক্রি করা হবে। এর ফলে দূষণ কমার পাশাপাশি রাজ্যে বহু কর্মসংস্থান হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। 

Advertisement

ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে বাজারে বিক্রি করলে তা থেকে রোজগার হবে প্রচুর মানুষের। এই বিষয়ে ন‌্যাশানাল ইনস্টিটিউট ফর মাইক্রো, স্মল অ‌্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইসেসের তরফে রাজ্যের এমএসএমই দপ্তরের আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ৫ দিনের শিবিরে যোগ দিতে রাজ্যের এমএসএমই দপ্তরের ৩০ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক হায়দরাবাদ গিয়েছেন। কীভাবে এই গোটা প্রক্রিয়া আবর্তিত হয়, সেবিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এনআইএমএসএমই। 

[আরও পড়ুন: ‘মহাকাশের রক্তখেকো’! জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ খুঁজে পেল টকটকে লাল ব্ল্যাকহোল]

কঠিন বর্জ্যপদার্থের মূল উৎস কল-কারখানার বর্জ্য, নগরায়ণ, কৃষিজাত কঠিন বর্জ্যবস্তু, বায়ো মেডিকেল প্যাথলোজিক্যাল বর্জ্য বা হাসপাতালের বর্জ্য। করখানার বর্জ‌্যকে ব‌্যবহারযোগ‌্য জিনিসে রূপান্তরিত করে কীভাবে কাজে লাগানো হবে এই ৫ দিন সেই প্রক্রিয়াই দেখানো হচ্ছে রাজ্যের আধিকারিকদের। যে সমস্ত জায়গায় এই কাজ হয়, সেই প্ল‌্যান্ট ঘুরিয়ে দেখানো হচ্ছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই প্রশিক্ষণ। চলবে ১ মার্চ পর্যন্ত। দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, রাজ্যের এই প্রক্রিয়া চালাতে তৈরি হবে সলিডওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিও। কারখানা থেকে নির্গত বা ফেলে দেওয়া জিনিসগুলোকে সেখানেই প্রক্রিয়াকরণের মাধ‌্যমে ব‌্যবহারযোগ‌্য জিনিসে রূপান্তরিত করা হবে। আর এসবের জন‌্য তৈরি হবে বাজারও। 

যত দিন যাচ্ছে, তত বাড়ছে নগরায়ণ। বড় বড় বহুতল তৈরি হচ্ছে। বাড়ছে কল-কারখানার সংখ্যাও। আর সেখান থেকেই রোজ নির্গত হচ্ছে ক্ষতিকারক কঠিন বর্জ্র‌্য। শিল্পজাত কঠিন বর্জ্য পদার্থের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ মিশ্রিত থাকে। তার মধ্যে থাকে রাসায়নিক দ্রব্য, কীটনাশক, রাবার, চামড়া কলকারখানার ক্রোমিয়াম যৌগ, শিল্পক্ষেত্র থেকে নির্গত মার্করি সায়ানাইড। কারখানা থেকে বের হওয়া এই সমস্ত বর্জ্র পদার্থগুলোকেই প্রক্রিয়াকরণের মাধ‌্যমে ব‌্যবহারযোগ‌্য করে বাজারে আনা হবে। যা থেকে হবে কর্মসংস্থান। তৈরি হবে ছোটখাটো শিল্পসংস্থাও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement