সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ হাজার বছর পর আবার জেগে উঠেছে ইথিওপিয়ার আগ্নেয়গিরি। সেই ভয়াল অগ্নুৎপাতের ছাই এসে পৌঁছেছে দিল্লিতে। অথচ দুই স্থানের মধ্যে দূরত্ব প্রায় সাড়ে চারহাজার কিলোমিটার। কেমন করে এতদূর থেকে রাজধানীর বুকে এসে মিশল ওই ছাই?
‘হেলি গুব্বি’ আগ্নেয়গিরির ছাই এতদূর পাড়ি দেওয়ার পিছনে আসলে রয়েছে বেশ কয়েকটি ধাপ। প্রথমে অগ্ন্যুৎপাতের বিস্ফোরণের প্রবল ধাক্কায় ছাই উঠে যায় ১৫ হাজার ফুট থেকে ৪৫ হাজার ফুট পর্যন্ত উচ্চতায়। এরপর প্রাথমিক ভাবে তীব্র উচ্চ-স্তরের বাতাস ইথিওপিয়ার ছাইকে ভাসিয়ে নিয়ে লোহিত সাগরের উপর দিয়ে। তা ভেসে যায় ইয়েমেন ও ওমেনের দিকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা বাতাসের ধাক্কায় অভিমুখ বদলে ভাসতে থাকে আরব সাগরের উপরে। ছাইটি পূর্বদিকে অগ্রসর হওয়ার আগে গুজরাট এবং রাজস্থানের মতো পশ্চিমাঞ্চল হয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবেশ করেছিল।
'সাবট্রপিক্যাল জেট স্ট্রিম' যা সাধারণত শীতকালে দক্ষিণ এশিয়ার দিকে বায়ুপ্রবাহকে সরিয়ে নিয়ে যায়, এক্ষেত্রে ছাইয়ের অভিমুখ নিয়ন্ত্রণে সেই প্রবল বাতাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর তারই ধাক্কায় শেষপর্যন্ত মঙ্গলবাসরীয় সন্ধ্যায় সেই ছাই এসে পৌঁছয় দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে।
আমজনতার ঠিক কী অসুবিধা হতে পারে এই ছাই ভেসে আসার জেরে? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আকাশ কিছুটা ঘোলাটে দেখাতে পারে। সূর্যোদয়ের সময়েও আকাশের রং খানিকটা অস্বাভাবিক লাগতে পারে। কিছু জায়গায় আকাশ থেকে ছাইও ঝরে পড়তে পারে, তবে সেটা সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। যেহেতু ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ছাই রয়েছে, তাই দূষণজনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই।
প্রসঙ্গত, দশ হাজার বছর পর জেগে উঠেছে ইথিওপিয়ার আগ্নেয়গিরি। যাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন বিরল ঐতিহাসিক এবং প্রাকৃতিক ঘটনা। বিগত দশ হাজার বছর ঘুমিয়ে ছিল ইথিওপিয়ার ‘হেলি গুব্বি’ আগ্নেয়গিরি। রবিবার সেটি জেগে উঠেছে। শুরু হয়েছে ভয়ংকর অগ্ন্যুৎপাত। তার জেরে গোটা বিশ্বের উড়ান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
