সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হারিয়ে যাওয়া বন্যপ্রাণীকে ফিরিয়ে আনতে একদা বিদেশের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্র। এবার 'আত্মনির্ভর' হয়ে উঠল ভারত। বলা হচ্ছে চিতার প্রত্যাবর্তন এবং বংশবিস্তারের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া থেকে আনা চিতার ভারতীয় সন্তান এবার জন্ম দিল পাঁচটি শাবকের। মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে এই ৫ চিতা শাবকের জন্ম ঘিরে উৎসবের আমেজ। বলা হচ্ছে, মুখী নামে ওই চিতা একেবারে ইতিহাস গড়ে ফেলেছে। মা ও সন্তানরা সকলে সুস্থ আছে। এই সুখবর জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব নিজে।
'প্রজেক্ট চিতা'র আওতায় ২০২২ সালে নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মোট ১০টি চিতা আনা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। তাদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি হয় সেখানে। তার মধ্যে নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে যে চিতারা এখনও বেঁচে, শতকরা হিসেবে তারা ৬১ শতাংশ। গড় হারের চেয়ে বেশি। বিশেষজ্ঞদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন পরিবেশে মাত্র ৪০ শতাংশ চিতাই বাঁচতে পারে। সেই হিসেবে চিতার নিরাপদ বাসস্থান হিসেবে ভারত এগিয়ে। এটাই 'প্রজেক্ট চিতা'র বড় সাফল্য।
লক্ষ্য ছিল, এদেশে চিতাদের বংশবিস্তার। সেইমতোই চিতাদের মধ্যে সঙ্গম করানো হয়। মধ্যপ্রদেশের পরিবেশে জন্ম নেয় চিতা। কুনোর সেই ভারতীয় চিতা মুখীর বয়স ৩৩ মাস অর্থাৎ প্রায় তিন বছর। এই মুখীই পাঁচ-পাঁচ সন্তানের গর্বিত মা! মুখীর এই 'নবজন্ম' নানা কারণেই বিশেষ। বলা হচ্ছে, চিতারা যে ভারতীয় পরিবেশে বেশ মানিয়ে নিতে পেরেছে এবং জিনগত বদল আসছে ধীরে ধীরে, তারই প্রমাণ এই ৫ সুস্থ শাবকের জন্ম। এবার থেকে এদেশের জঙ্গলে স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গেল চিতার দল, এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মুহূর্তে কুনো জাতীয় উদ্যানের চিতা-জগৎ প্রমাণ দিচ্ছে, 'এভাবেও ফিরে আসা যায়...'। বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের আরও মত, এই ব্যাপারে ভারত পথ দেখাল গোটা বিশ্বকে।
