সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম অভিযান ধাক্কা খেয়েছিল আবহাওয়ার কারণে। কিন্তু দ্বিতীয়বার আর ব্যর্থতা নয়, বরং মঙ্গল অভিযানে সফল রকেট উৎক্ষেপণ করে 'এক ঢিলে দুই পাখি' মারল মার্কিন শিল্পপতি জেফ বেজোসের সংস্থা ব্লু অরিজিন। প্রথমত, এই প্রথম নাসা বেসরকারি উদ্যোগে মঙ্গল অভিযান করছে। দ্বিতীয়ত, যে ভারী রকেটটি জোড়া মহাকাশযান নিয়ে লালগ্রহের উদ্দেশে রওনা হয়েছে, তা পুরনো। বিভিন্ন উপায়ে যত্ন নিয়ে তাকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়েছে। এতে খরচও সাশ্রয় হবে। আর এখানেই বেসরকারি মহাকাশ অভিযানে এলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সকে টেক্কা দিয়েছে বেজোসের সংস্থা। বলা হচ্ছে, রকেটকে এভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে পারলে অনেক কম খরচে মহাকাশ অভিযান সম্ভব।
১৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে ব্লু অরিজিনের নিউ গ্লেন বুস্টার (New Glenn booster) রকেটটির সফল উৎক্ষেপণ করা হয়। শুধু তাই নয়, নিজের কাজ সেরে মিনিটের মধ্যেই সে সফলভাবে ফিরেও আসে। আটলান্টিক মহাসাগরের জ্যাকলিনে অবতরণ করে ৩২০ ফুট দীর্ঘ রকেটটি। ব্লু অরিজিন সূত্রে খবর, এই রকেটটি তৈরি হয়েছে যাতে অন্তত ২৫ বার ব্যবহার করা যেতে পারে। বেসরকারি উদ্যোগে মহাকাশ গবেষণা এবং অভিযানে এধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার অতি জরুরি। তাতে ব্যয়ভার কমে।
কিন্তু চাইলেই কি আর রকেটকে পুনর্ব্যবহার করে তুলে সফল উৎক্ষেপণ সম্ভব? এই কাজে স্পেস এক্সের ব্যর্থতার ইতিহাস রয়েছে। তাদের ফ্যালকন নাইন (Falcon 9) রকেট অতি ভারী। তাকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে আবারও উৎক্ষেপণের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ওঠার পরই তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। সেখানে বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে ব্লু অরিজিনের নিউ গ্লেন বুস্টার রকেট। মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠানোর প্রথম ধাপে সফল ওই ভারী রকেট। আর এই প্রযুক্তি সরকারি হোক বা বেসরকারি - মহাকাশ অভিযানের খরচ অনেকটা কমিয়ে দেবেন নিঃসন্দেহে। আর সেই পথ দেখিয়ে জেফ বেজোসের সংস্থার এই সাফল্য বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে মাস্কের বড়সড় প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চলেছে। তবে অভিজ্ঞ মহলের মত, প্রতিযোগিতা জোরদার হলে আখেরে লাভই হবে অভিযানের ক্ষেত্রে। এতে উৎসাহ বাড়বে সব পক্ষের।
