সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাকেশ শর্মার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে চার দশক পর ভারতের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রচনা হয়েছে। মহাকাশে পৌঁছেছেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। আমেরিকার অ্যাক্সিয়ম-৪ মিশনের পাইলট হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পথে তিনি। তাঁকে নিয়ে গোটা দেশের গর্বের শেষ নেই। আর শুভাংশুর পর আরও এক ভারতীয়র হাত ধরে নয়া রেকর্ড তৈরি হতে চলেছে। তিনি আবার কন্যা - জাহ্নবী ডাঙ্গেতি। অন্ধ্রের মেয়ে জাহ্নবীর বয়স মাত্র ২৩ বছর। সর্বকনিষ্ঠ মহাকাশচারী হিসেবে তিনি নিজের নাম তুলতে চলেছেন ইতিহাসে।
ইতিহাস গড়ার পথে অন্ধ্রের কন্যা জাহ্নবী ডাঙ্গেতি।
আমেরিকার বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা 'টাইটান স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ' সংক্ষিপ্ত মিশনের আয়োজন করেছে আজ ২০২৯ সালে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব কাটিয়ে পাঁচঘণ্টা মাত্র মহাশূন্যে ভেসে থাকবেন মহাকাশচারীরা। এর মধ্যে দু'বার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত চাক্ষুষ করতে পারবেন। আসলে পৃথিবীর একপ্রান্তে যখন সূর্যোদয়, তখন অন্যপ্রান্তে সূর্যাস্তের যে 'জাদু', মহাকাশযানে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করতে করতে সেটাই প্রত্যক্ষ করতে পারবেন নভোচররা। এছাড়া সীমিত সময়ে মহাশূন্যে ভেসে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করার কথা। পাঁচঘণ্টায় নিজেদের কাজ শেষ করে তাঁরা ফিরে আসবেন পৃথিবীতে। 'টাইটান স্পেস মিশন' নামে সেই অভিযানের অংশ হতে চলেছেন ভারতকন্যা জাহ্নবী। এই মিশনের জন্য নির্বাচিত হওয়ার সুখবর জাহ্নবী নিজেই সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।
২৩ বছরের জাহ্নবীর জন্ম অন্ধ্রের পশ্চিম গোদাবরী জেলায়। সেখানকার স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন। তারপর পাঞ্জাবের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন নিয়ে স্নাতক হন। স্নাতকের পরই চলে যান বিদেশ। মহাকাশ নিয়ে বরাবরের আগ্রহ জাহ্নবীর। বিদেশে গিয়ে তাই নানা ধরনের মহাকাশ গবেষণায় অংশ নেন। নাসায় এই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও হয় তাঁর। এভাবে কাজ করতে করতেই 'টাইটান স্পেস ইন্ড্রাস্ট্রিজ'-এর নজরে পড়েন ভারতীয়কন্যা। ২০২৯ সালে 'টাইটান স্পেস মিশন'-এর জন্য জাহ্নবী নির্বাচিত হন। যখন তিনি প্রথম মহাশূন্য পাড়ি দেবেন তখন তাঁর বয়স হবে মাত্র ২৭ বছর। তখনও দেশের সর্বকনিষ্ঠ মহিলা মহাকাশচারী হিসেবে নয়া রেকর্ড গড়বেন জাহ্নবী। তাঁর সাফল্যের জন্য রইল আগাম শুভেচ্ছা।
