shono
Advertisement
Asteroid Hitting Earth

৬১ হাজার কিমি বেগে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু, গুঁড়িয়ে যাবে কলকাতা? নাসার রিপোর্টে শঙ্কা

কবে সেই শেষের সেদিন?
Published By: Kishore GhoshPosted: 12:50 PM Feb 20, 2025Updated: 01:19 PM Feb 20, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬১ হাজার কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে বিশালাকার গ্রহাণু। বিপদ ভারতের! ধুলোয় মিশে যেতে পারে গোটা কলকাতা। চিন্তা বাড়াচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রিপোর্ট। এই নয়া গ্রহাণুর নাম রাখা হয়েছে ‘২০২৪ওয়াইআর৪’। যেটি প্রথমবার বিজ্ঞানীদের চোখে পড়ে গত ২৭ ডিসেম্বর। প্রথম থেকেই তার গতিপথের দিকে নজরে রাখছিল বিজ্ঞানীরা। নতুন গ্রহাণু চিহ্নিত হলেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে আসে। প্রথমত, গ্রহাণুটির পৃথিবীর বুকে আছড়ে সম্ভাবনা কতখানি? দ্বিতীয়ত, পৃথিবীতে যদি আছড়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে কোথায়, কতখানি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে?

Advertisement

নাসার রিপোর্ট বলা হয়েছে, গ্রহাণু ‘২০২৪ওয়াইআর৪’ ২০৩২ সালে ২২ ডিসেম্বর নাগাদ আছড়ে পড়তে পারে পৃথিবীতে। তবে বিপদের আশঙ্কা (পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা) ৩.১ শতাংশ। যদিও সেই আশঙ্কা নিয়েও বেজায় চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা। কারণ, গ্রহাণুটি যদি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে, তা হলে ধুলোয় মিশে যেতে পারে আস্ত একটা শহর। এমনকী সেই শহরটা হতে পারে আমাদের চেনা কলকাতাও।

কল্পবিজ্ঞানের গল্প না। বাস্তবেই নাসার রিপোর্টে তিলোত্তমা শহরের বিপদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নাসা জনিয়েছে, গ্রহাণুর গতিপথ পূর্ব প্রশান্তমহাসাগরীয় এলাকা, দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর অংশ, অতলান্তিক মহাসাগর, আফ্রিকা, আরব সাগর ও দক্ষিণ এশিয়া। বিশ্বের জনবহুল কতগুলি শহর নিয়ে আলাদা করে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। সেই শহরগুলি হল— মুম্বই, কলকাতা, ঢাকা, বাগোটা, আবিদজান, লাগোস ও খার্তুম।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গ্রহাণুটির আকার আনুমানিক ১৩০ ফুট থেকে ৩০০ ফুট চওড়া। বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ মনে করছে, পৃথিবীর কাছাকাছি পৌঁছনোর আগেই ফেটে যাবে এটি। এই বিস্ফোরণের শক্তি জাপানের হিরোশিমায় যে পরমাণু বোমা পড়েছিল, তার চেয়ে ৫০০ গুণ শক্তিশালী। এই ভয়াবহ শক্তিই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এই ধরনের আগন্তুক গ্রহাণু অতীতে বহুবার পৃথিবীতে আছড়‌ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনেও এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক অতীতে বহুবারই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা জল্পনা ও গুজব শোনা গিয়েছে। কিন্তু এবার সেই সংঘর্ষের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর তাই বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটির প্রতি খুঁটিনাটি নজর রাখছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • গ্রহাণু ‘২০২৪ওয়াইআর৪’ ২০৩২ সালে ২২ ডিসেম্বর নাগাদ আছড়ে পড়তে পারে পৃথিবীতে।
  • তবে বিপদের আশঙ্কা (পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা) ৩.১ শতাংশ। যদিও সেই আশঙ্কা নিয়েও বেজায় চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা।
Advertisement