সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভালোবাসতে পারলে জড় পদার্থেও নাকি প্রাণ সঞ্চার হয়! গাছের তো প্রাণ আছে। যত্ন পেলে সেই গাছই হয়ে উঠতে পারে মানুষের পরম বন্ধু! আর পরিবেশের সদস্য হিসেবে তো গাছের ভূমিকা অতুলনীয়। তার সালোকসংশ্লেষ যেমন মানুষের প্রাণধারণের জন্য অক্সিজেন জোগায়, তেমনই বৃক্ষশরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ভেষজ ভূমিকাও কম নয়। আজকের নগর জীবনে সৌন্দর্যায়নের নামে বৃক্ষনিধনের খবর পাওয়া যায় অহরহ। কিন্তু সমাজের সেই পরম বন্ধুকে রক্ষা করা তো আশু কর্তব্য। সেই লক্ষ্যে শনিবার শহরে গাছ বিতরণের এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে 'আয়ুরমিত্র' নামে এক সংস্থা। তাতে যোগ দিয়ে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা 'সংবাদ প্রতিদিন'-এর কনসাল্টিং এডিটর কুণাল ঘোষ চারাগাছ বিলি করলেন স্কুলপড়ুয়াদের। শনিবারের অনুষ্ঠানে ভেষজ-সহ প্রায় হাজার চারাগাছ বিতরণ করা হল।
গত বছর থেকে 'আয়ুরমিত্র' নামে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করা এই সংস্থা বিনামূল্যে চারাগাছ বিতরণের অনুষ্ঠান করে আসছে। এবছরও কলকাতার গাঙ্গুলি বাগান এলাকায় সেই অনুষ্ঠান হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর হাত ধরেই বিলি করা হল ভেষজ গাছের চারা। সেই তালিকায় আমলকী, অশোক, বহেড়ার মতো ওষধি চারা ছাড়াও ছিল অর্জুন, শিউলি, বকুল, কাঞ্চনের মতো সুগন্ধী ফুলের গাছও। এর মূল উদ্যোক্তা রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তাঁর অনুপ্রেরণায় বর্ষার তিলোত্তমাকে আরও সবুজস্নাত করে তুলতে এই চারাগাছ বিলির অনুষ্ঠান।
গাছ বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ''এখনকার নগর জীবনে আগের মতো বাগান না থাকলেও ব্যালকনি, ছাদ আছে। সেখানে ছোট ছোট গাছ রাখাই যায়। যাঁরা গাছ ভালোবাসেন, তাঁরা কিন্তু বুক দিয়ে আগলে রাখেন। তাই সকলকেই বলব, গাছ শুধু লাগালেই হবে না, যত্ন করতে হবে। যাদের সুযোগ আছে, তারা বাড়িতে তুলসীগাছ লাগিয়ে তুলসীপাতা ব্যবহার করুন। আর যাদের সেই সুযোগ নেই, তারা তুলসীর গুণ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করুন।'' 'আয়ুরমিত্র' সংস্থার কর্ণধার সুচেতা ঘোষ জানাচ্ছেন, আজ আমরা স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যে বিতরণ করেছি। এবছর অনেক বড় গাছের চারাও দেওয়া হয়েছে। আশা করি, স্কুলপড়ুয়ারা তা নিজেদের স্কুলে পুঁতে যত্ন করবে।''
