সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধূমকেতু (Comet)। মহাকাশের আশ্চর্য এই অতিথিকে নিয়ে মহাকাশপ্রেমীদের কৌতূহলের শেষ নেই। কিন্তু এতদিন ধূমকেতুর দৈর্ঘ্য সম্পর্কে এতদিন যা ধারণা ছিল, তা ভেঙে দিয়েছে নাসার (NASA) নতুন আবিষ্কার। হাবল টেলিস্কোপ জানিয়ে দিল, মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর মূল অংশটির ব্যাস প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। এর নাম C/2014 UN271 ওরফে ‘বেহেমথ’। যা সাধারণ ধূমকেতুর যে দৈর্ঘ্য, তার থেকে প্রায় ৫০ গুণ বেশি! প্রায় ৩৫ হাজার কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে সেটিকে ছুটে আসতে দেখা গিয়েছে সৌরজগতের সীমানা থেকে।
কেবল দৈর্ঘ্য় নয়, ধূমকেতুটির ভরও চমকে দেওয়ার মতো। এর ভর প্রায় ৫০০ লক্ষ কোটি টন। এটিও এতদিন আবিষ্কৃত ধূমকেতুদের থেকে বহু গুণ বেশি ভারী। স্বাভাবিক ভাবেই এমন অতিকায় ধূমকেতুকে দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
[আরও পড়ুন: হিন্দিতে কথা বলায় জোর দেওয়ায় এবার দলের অন্দরেই বিরোধের মুখে অমিত শাহ]
২০০২ সালে দেখা গিয়েছিল C/2002 VQ94 নামের এক ধূমকেতু। সেটিই ছিল এতদিন পর্যন্ত চেনা ধূমকেতুদের মধ্যে সবথেকে দীর্ঘ। কিন্তু এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল। তবে ‘বেহেমথ’ নামের ধূমকেতুটিকে প্রথমবার দেখা গিয়েছিল ২০১০ সালে। সেই সময় সূর্যের থেকে এর দূরত্ব ছিল ৩ বিলিয়ন মাইল। তবে সেবার কেবল একে দেখা গেলেও এর অস্তিত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত খবর পাওয়া গেল প্রথম বার।
নাসা জানাচ্ছে, ২০৩১ সালে সেটি পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসবে। তাহলে কি ওই অতিকায় ধূমকেতুর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে চলেছে আমাদের নীল গ্রহের। এবিষয়ে অবশ্য আশ্বস্ত করছে নাসা। জানা গিয়েছে, পৃথিবীর কাছে এলেও সেটি অনেক দূর দিয়েই চলে যাবে। কাছেই কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে রাতের আকাশের দিকে চোখ রেখে যে চমকে উঠবেন মহাকাশপ্রেমীরা, তাতে সন্দেহ নেই।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ডিসেম্বরে লিওনার্দ নামের একটি ধূমকেতু পৃথিবীর কাছে এসেছিল। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাউন্ট লেমন অবজার্ভেটরি থেকে ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী গ্রেগরি জে লিওনার্দ। তাঁর নামানুসারেই মহাজাগতিক বস্তুটির নামকরণ করা হয় লিওনার্দ।