সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাল গ্রহ সম্পর্কে কৌতূহল নিরসনে অনেক ধারণা দিয়েছে নাসার পাঠানো রোভার – কিউরিওসিটি (Curiosity)। মঙ্গলের গহ্বরে তল্লাশি চালিয়ে সে বেশ কিছু আশাপ্রদ তথ্যই তুলে ধরেছে। বিশেষত প্রতিবেশী গ্রহে জল এবং প্রাণের সম্ভাবনা নিয়ে ধারণা করতে কিউরিওসিটির অবদান যথেষ্ট। এবার পরবর্তী ধাপে মঙ্গলের নিরক্ষীয় অঞ্চলের খুঁটিনাটি জানতে নাসা পাঠাচ্ছে আরেকটি রোভার – ‘পারসিভিয়ারেন্স’কে (Perseverance)। কৌতূহল আরও কিছুটা মিটিয়ে দেবে অধ্যাবসায়। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের ৩০ তারিখ ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে রকেট পাড়ি দেবে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পারসিভিয়ারেন্স পৌঁছবে গন্তব্যে।
কেমন দেখতে এই নতুন রোভারটি? এ নিয়ে গত ৭ তারিখ এক ছোটখাটো অনুষ্ঠানে তারই ডেমনস্ট্রেশন দেখিয়েছে নাসা। অন্তত সাতটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি থাকবে এতে। থাকবে ২৩ টি ক্যামেরা ও দুটি মাইক্রোফোন। রকেটের সঙ্গে যুক্ত পারসিভিয়ারেন্সের মাথায় আলাদাভাবে থাকবে একটি ড্রোন ক্যামেরা। যা দিয়ে তোলা ছবি নাসার হাতে আসবে। কিউরিওসিটির তুলনায় পারসিভিয়ারেন্সকে আরও শক্তিশালী করে বানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়াররা। এর চাকা তৈরি হয়েছে অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে, যা মঙ্গলের বুকে আরও মসৃণভাবে ঘুরে বেড়াতে পারবে। এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে ৫টি রোবোটিক আর্ম (Robotic Arms), যার মাধ্যমে লালগ্রহের ভূতাত্বিক চরিত্র বিশ্লেষণও করা হবে। এই যান কিউরিওসিটির তুলনায় অন্তত ১৭ গুণ ভারী। গন্তব্যে পৌঁছে রকেট থেকে রোভারটি পৃথক হতে ৫০ থেতে ৬০ মিনিট সময় লাগবে।
[আরও পড়ুন: সৌরশক্তিচালিত স্যানিটাইজিং মেশিনই মারবে করোনা! অভিনব আবিষ্কার বাংলার শিক্ষকের]
মঙ্গল অতীতে কেমন ছিল? কোন কোন পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে লালগ্রহ আজকের চেহারায় এসেছে – নিরক্ষীয় অঞ্চলে ঘুরে বেরিয়ে এসব ইতিহাসের খোঁজ করবে নাসার রোভার পারসিভিয়ারেন্স। নাসা সূত্রে খবর, তার মূল লক্ষ্য হবে, অতীতে মঙ্গলে প্রাণের আদৌ কোনও বীজ ছিল কি না, তার সন্ধান চালানো।
[আরও পড়ুন: কৃষ্ণগহ্বরে আলোর ঝলকানি! এ কোন মহাজাগতিক রহস্যের মুখে বিজ্ঞান?]
নাসার এই সাধু উদ্যোগ বারবার পিছিয়ে গিয়েছে। পিছিয়েছে পারসিভিয়ারেন্সের উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ। প্রথমে ঠিক ছিল, জুলাইয়ের ২০ তারিখ মঙ্গলের উদ্দেশে পাড়ি দেবে এই যান। পরে তা পিছিয়ে ২২ জুলাই এবং তা আরও পিছিয়ে ৩০ জুলাই নতুন দিন স্থির হয়েছে। তা নিয়েও কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে নাসার অন্দরে। তবে ১৫ আগস্টের মধ্যে উৎক্ষেপণ নিশ্চিত বলেই নাসা সূত্রে খবর। মঙ্গল নিয়ে কৌতূহল (Curiosity) যেটুকু মিটেছে, অধ্যবসায়ের (Perseverance) দৌলতে তার সমগ্র ছবি স্পষ্ট হয়ে যাবে।
The post ‘কিউরিওসিটি’র পর মঙ্গলে নাসার রকেট ‘পারসিভিয়ারেন্স’, কৌতূহল নিরসন করবে অধ্যবসায় appeared first on Sangbad Pratidin.