সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার মসনদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ফেরার পর থেকে ব্যয় সংকোচনের পথে হেঁটেছেন। যার প্রভাবে 'শাটডাউন' বিশ্বের বৃহত্তম মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায়। সরকারি খরচে আমেরিকা আর মহাকাশ গবেষণার কাজে নেই। তবে বেসরকারি একাধিক সংস্থার হাতে হাত ধরে নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নাসা। তারই অংশ হিসেবে বেসরকারি উদ্যোগে মঙ্গল অভিযান করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। প্রস্তুতি শেষ। ১০ নভেম্বর, সোমবারই মঙ্গলের পথে পাড়ি দিচ্ছে জেফ বেজোসের সংস্থার জোড়া মহাকাশযান। ২০২৭ সালে মঙ্গলে পৌঁছনোর কথা। তাদের কাজ হবে লালগ্রহের পরিবেশ এবং চৌম্বকক্ষেত্র সম্পর্কে তথ্য জানা। কীভাবে যুগ যুগ ধরে মঙ্গলের আবহাওয়া বদলে গিয়েছে, সেই সংক্রান্ত গবেষণায় সাহায্য করা।
প্রতিবেশী গ্রহ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই বিশ্ববাসীর। সেখানে প্রাণধারণের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে কিনা, সেই খোঁজ অনন্ত। নাসার মহাকাশযান 'পারসিভিয়ারেন্স' রোভার দীর্ঘদিন ধরে তা খুঁজে চলেছে। এবার মঙ্গল সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য পেতে জোড়া মহাকাশযান পাঠানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মার্কিন শিল্পপতি জেফ বেজোসের সংস্থা 'ব্লু অরিজিন' এই মিশনে এগিয়ে এসেছে। ব্লু এবং গোল্ড নামে দুটি রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্টেশন থেকে। ভারতীয় সময় তখন সোমবার রাত ১টা ১৫ মিনিট।
জানা গিয়েছে, মহাকাশযান দুটি উৎক্ষেপণের জন্য নিউ গ্লেন রকেট ব্যবহার করা হচ্ছে। ৩২১ ফুট লম্বা ভারী এই রকেট পৃথিবীর টান কাটাতে সাহায্য করবে জোড়া মহাকাশযানকে। এদের গতিপথ খানিকটা ভিন্ন। পৃথিবীর কক্ষপথ পেরিয়ে প্রথমে পৃথিবী-সূর্যের মাঝে ল্যাগারাঞ্জিয়ান পয়েন্ট ২ বা L2 পয়েন্টে প্রথমে পৌঁছবে ব্লু ও গোল্ড। সেটা পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে। তারপর ধীরে ধীরে তা মঙ্গলের দিকে অগ্রসর হবে। এই অভিযানে থাকা নেতৃত্বের দাবি, মহাকাশযান উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে এধরনের প্রযুক্তি প্রথমবার ব্যবহৃত হচ্ছে। সরকারি তরফেও এই অভিযানকে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। সফল হলে মঙ্গলের আভ্যন্তরীণ বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আসবে বলে আশা বিজ্ঞানী মহলের।
