সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই পৃথিবীতে একদিন তারাই দাপিয়ে বেড়াত। তারপর আচমকাই কালের অতলে তলিয়ে গিয়েছিল ডাইনোসররা (Dinosaurs)। কেন হঠাৎই এভাবে তাদের রাজ্যপাট গুটিয়ে গিয়েছিল, তা নিয়ে কম গবেষণা হয়নি। এবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জ্যোতির্বিজ্ঞানী দাবি করলেন, আজ থেকে প্রায় সাড়ে ছ’কোটি বছর আগে এক অতিকায় মহাজাগতিক বস্তু আছড়ে পড়েছিল পৃথিবীর বুকে। তার ফলে কার্যত তছনছ হয়ে যায় নীল গ্রহের জীবজগৎ। আর তখনই বিলুপ্ত হয়ে যায় ডাইনোসররাও।
ডাইনোসরদের অবলুপ্তির কারণ হিসেবে নানা সময়ে নানা কথা বলেছেন বিজ্ঞানীরা। কারও দাবি, ভয়ংকর ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্টি হওয়া বিপুল অগ্ন্যুৎপাতেই নাকি হারিয়ে গিয়েছিল ডাইনোরা। আবারও কারও মতে, কোনও এক মারণ রোগের মহামারীতেই রাতারাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল তারা। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় থিয়োরি হল অতিকায় ধূমকেতু (Comet) কিংবা গ্রহাণুর (Asteroid) সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ। এই থিয়োরিকেই মান্যতা দিচ্ছেন হার্ভার্ডের গবেষকরা। ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ নামের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের গবেষণাপত্রটি। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রতি আড়াই কোটি থেকে সাড়ে সাত কোটি বছর অন্তর এই ধরনের মহাজাগতিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পৃথিবী।
[আরও পড়ুন: কঠিন পরীক্ষার মুখে নাসার পারসিভিয়ারেন্স, অবতরণের আগে গুরুত্বপূর্ণ ৭ মিনিট নিয়ে চিন্তা]
তবে নয়া গবেষণায় বলা হয়েছে এক ধূমকেতুর কথা। গবেষকদের দাবি, সৌরজগতের সুদূর প্রান্ত থেকে ধেয়ে আসা এক ধূমকেতুই ৬ কোটি ৬০ লক্ষ বছর আগে আছড়ে পড়েছিল পৃথিবীতে। ওই প্রান্তের নাম ‘উর্ট মেঘ’। হিমশৈল দিয়ে তৈরি ওই অতিকায় মেঘের দল সৌরজগতকে ঘিরে রেখেছে। সেখান থেকেই এসেছিল ডাইনো ঘাতক ধূমকেতুটি। এই দাবির ফলে সৌরজগতের মাঝামাঝি কোনও অঞ্চলের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর টক্করের পুরনো থিয়োরি কার্যত নাকচ হয়ে গেল।
ওই ধূমকেতুকে পৃথিবীর দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার পিছনে ছিল শুক্রগ্রহের হাত। অন্যতম গবেষক আমির সিরাজের দাবি, শুক্রের অভিকর্ষের কারণেই ওই ধূমকেতু তার গতিপথ বদলে ছুটে গিয়েছিল পৃথিবীর দিকে।