নিরুফা খাতুন: জন্মদিন বা বিশেষ দিনে বন্ধু, পরিবারকে নিয়ে ভুরিভোজ করা হয়। তবে চাইলে নিজের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীতে বাঘ, হাতিদেরও ভুরিভোজ করাতে পারেন! বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে মানুষের সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে দত্তক প্রথা চালু করা হয়েছিল আগেই। এবার তাদের ভোজ খাওয়ানোর সুযোগ দিচ্ছে বনদপ্তর। অবশ্য শর্তসাপেক্ষ। নিজের হাতে খাওয়াতে পারবেন না। এক্ষেত্রে খাবারের টাকা কর্তৃপক্ষর হাতে তুলে দিতে হবে। কর্তৃপক্ষ সেই টাকা দিয়ে প্রাণীদের খাবারের ব্যবস্থা করবে।
সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সঙ্গে ছিলেন প্রধান মুখ্য বনপাল সৌমিত্র দাশগুপ্ত, রাজ্য জু অথরিটি মেম্বারস সেক্রেটারি সৌরভ চৌধুরীও। এদিন মন্ত্রী শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারি ঘুরে দেখেন। দর্শক টানতে বেঙ্গল সাফারিতে বেশ ক’য়েকটি নয়া প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, দত্তক প্রথার পর এবার বন্যপ্রাণীদের খাবার স্পনসর করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
[আরও পড়ুন: এবার ধোনির নামে তৈরি হল ড্রোন ক্যামেরা, ‘ড্রোনি’ কাজ করবে কৃষিক্ষেত্রে]
যে কোনও প্রাণীর খাবার স্পনসর করা যাবে। যেমন কোনও চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্কে বাঘকে যদি একদিনের জন্য খাওয়াতে চান তাহলে তার ওই একদিনের খাবারের খরচভার কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। সেই টাকা দিয়ে সেদিন সংশ্লিষ্ট প্রাণীর খাবারের ব্যবস্থা করবে কর্তৃপক্ষ। শুধু একদিন নয়, চাইলে এক সপ্তাহ, এক মাস বা এক বছরের খাবার স্পনসর করতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: ভোল পালটে সক্রিয় PFI, দিওয়ালিতে কলকাতায় নাশকতার ছক! থানাগুলিকে সতর্ক করল লালবাজার]
চিড়িয়াখানা ও সাফারি পার্কের জন্য রাজ্য বনদপ্তর বছরে অর্থ বরাদ্দ করে থাকে। কিন্তু টানাটানির সংসারে সেই অর্থ দিয়ে প্রতিদিনের পরিষেবা চালানো, রক্ষণাবেক্ষণার খরচ পশুপাখিদের খাবার, চিকিৎসা খরচ করতে হিমশিম খেতে হয়। খরচভার কমাতে এবং মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীদের সম্পর্ক উন্নত করতে দত্তক প্রথা চালু করা হয়। অর্থের বিনিময়ে মাসিক ও বার্ষিক দুই চুক্তিতে দত্তক দেওয়া হয়। অভিভাবকদের দেওয়া অর্থ দিয়ে দত্তক নেওয়া পশুপাখিদের খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এবার দত্তক না নিয়েও বন্যপ্রাণীদের ভুরিভোজ করাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।