অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে উত্তরবঙ্গের নদীগুলির নাব্যতা বাড়াতে এবার প্রতিটি নদীকে ড্রেজিংয়ের সিদ্ধান্ত নিল শিলিগুড়ি পুরসভা। পাশাপাশি নদীর পাড়টাকে আরও বাড়ানো হবে। শুধু তাই নয়, পাড়ের সৌন্দর্যায়নও হবে। সেচ দপ্তরকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুধবার নদী পরিদর্শন করেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের মেয়র পারিষদ মানিক দে-সহ আধিকারিকরা।
শিলিগুড়ি-সহ লাগোয়া এলাকায় নদীর চর দখল বন্ধ করতে প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশ দিতে চলেছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। কিছু অসাধু চক্র নদীর পাড়ের জমি কেনাবেচা করে একটি ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করছে। এ প্রসঙ্গ উঠতেই মেয়র জানিয়ে দেন, ''পোড়াঝাড়ে যেভাবে নদীর চরে ঘরবাড়ি তৈরি হয়েছে, সেটা আর নতুন করে করতে দেওয়া হবে না। এতে পরিবেশ ভারসাম্য হারাচ্ছে। ফলে দখল আটকে নদীর চরে ব্যাপকভাবে আমরা বনসৃজন করব।''
অন্যদিকে, নদীগুলি সামান্য বৃষ্টিতেই ভরে যাওয়ায় শিলিগুড়ির ৪টি নদী - মহানন্দা, চামটা, বুড়ি বালাসন ও পঞ্চনইয়ে পরীক্ষামূলকভাবে খননকাজ শুরু করা হবে। এই ক্ষেত্রে বিশেষ নীতিও নিয়েছে সরকার। তাই বুধবার নদীগুলো পরিদর্শন করেন তিনি। সেচ দপ্তরকে দ্রুত এই কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। নদী রক্ষা করার পাশাপাশি পাড়ের বাসিন্দাদের বাঁচানোও তাদের লক্ষ্য।
এদিন পরিদর্শন শেষে মেয়র গৌতম দেব বলেন, "নদীগুলোর মানরক্ষা করা আমাদের কাজ। আমরা নদীগুলোর প্রস্থ বাড়াব। পাড়গুলো সাজিয়ে দেব। যাতে বন্যা হলেও জল না ঢুকতে পারবে। পরিবেশ রক্ষার্থে নদীর একটা বড় ভূমিকা আছে। তাই নদীকে বাঁচানো আমাদের প্রধান কাজ। সেচ দপ্তরকে বলা হয়েছে দ্রুত এই কাজ শুরু করার জন্য। তারা টেন্ডারও করে দিয়েছে এই কাজের।" প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তরে বন্যায় মহানন্দার জল যেভাবে পোড়াঝাড়ে জলের তলায় চলে গিয়েছিল তাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগম।
