সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণায় এবার খাঁটি দেশপ্রেমের নিদর্শন। মহাকাশযানের যন্ত্রাংশ থেকে এবার দেশপ্রেমের সুর বেজে উঠল। মহাশূন্যে ছড়িয়ে পড়ল 'সারে জাঁহাসে আচ্ছা...'। দেশের মহাকাশ প্রযুক্তিতে এ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে রইল নিঃসন্দেহে। সোশাল মিডিয়ার দৌলতে সেই সুর এখন ঘুরছে ভারচুয়াল মাধ্যমে। নেপথ্যে হায়দরাবাদের এক বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। স্কাইরুট নামে ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, শুধু দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে এই সুর বাজানো হচ্ছে না। 'সারে জাঁহাসে আচ্ছা/হিন্দুস্তা হামারা' তাদের বিশ্বাস।
হায়দরাবাদের নতুন সংস্থা স্কাইরুট আসলে মহাকাশ গবেষণায় প্রযুক্তির দিকটি নিয়ে কাজ করে। রকেট অথবা কৃত্রিম উপগ্রহের একটি যন্ত্রাংশ - থ্রাস্টার অর্থাৎ যার মাধ্যমে রকেটকে ঊর্ধ্বমুখী গতি দেয়, সেটি তৈরি করে। তার নাম রাখা হয়েছে 'রমন মিনি থ্রাস্টার'। নোবেলজয়ী ভারতীয় পদার্থবিদ সিভি রমনকে শ্রদ্ধা জানাতে এমন নামকরণ। স্কাইরুটের দাবি, এসব থ্রাস্টার একটু হালকা, তবে তা নিম্ন কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে বেশ কার্যকর হবে। তো এহেন থ্রাস্টার থেকেই ওই সুরের উৎপত্তি। ইতিমধ্যে ১০০০টি থ্রাস্টার তৈরি হয়েছে এবং একসুরে সেখান থেকেই বেজে উঠেছে 'সারে জাঁহাসে আচ্ছা...'।
স্কাইরুটের রকেট বিক্রম-এস ভারতে প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে পাড়ি দেবে মহাকাশে।
স্কাইরুট ভারতের মধ্যে প্রথম সংস্থা যা বেসরকারি উদ্যোগে রকেট উৎক্ষেপণের লক্ষ্যে এগোচ্ছে। রকেটটির নাম দেওয়া হয়েছে বিক্রম-এস। সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা পবন চন্দনা নিজের এক্স হ্যান্ডল পোস্টে জানিয়েছেন, 'উইং কমান্ডার রাকেশ শর্মা প্রথম মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখে বলেছিলেন - সারে জাঁহাসে আচ্ছা/হিন্দুস্তা হামারা। আমরাও তাতে বিশ্বাস করি। আমাদের দেশই সবচেয়ে সুন্দর। এই সংস্থার প্রত্যেক সদস্য সেটা বিশ্বাস করেন।'
নতুন তৈরি থ্রাস্টারগুলি পরীক্ষার সময়ে ওই সুর বেজে উঠেছিল। বলা হচ্ছে, পরীক্ষায় পাশ করেছে থ্রাস্টারগুলি। তাতে যেমন সুর খেলেছে, তেমনই যান্ত্রিকভাবেও বেশ ভালোই কাজ করছে। যদিও ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, তারা নির্দিষ্ট কোনও সুরের কথা ভেবে কিছু তৈরি করেননি। বরং থ্রাস্টারগুলি থেকে ওই সুর বেরনো অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার। এভাবেই হয়ত একদিন মহাকাশে উড়ে যাওয়া স্কাইরুটের রকেট থেকে মহাশূন্য থেকে ভেসে আসবে মহাসঙ্গীত - 'সারে জাঁহাসে আচ্ছা/হিন্দুস্তা হামারা'।
