সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদ (Moon) নিয়ে মানুষের আগ্রহ কমেনি কোনওদিন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে চাঁদে জমি কিনে রাখা। এবার আরও চমকের খবর শোনালেন বিজ্ঞানীরা। আমেরিকা, চিন এবং রাশিয়া-এই তিনটি দেশই চেষ্টা করছে চাঁদের মাটিতে মানুষকে রেখে আরও আধুনিক পদ্ধতিতে গবেষণা শুরু করার। কিন্তু খাবার ছাড়া মানুষ বাঁচবে কী করে? নাসার সাম্প্রতিকতম ঘোষণা অনুযায়ী, সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদের মাটিতে ফুলকপি বা ব্রকোলি জাতীয় সবজির চাষ (Farming on Moon) হতেই পারে।
আরও জানা গিয়েছে, চাঁদের মাটি রেগোলিথ প্রকৃতির। প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে এই মাটি নিয়ে আসা হয়েছিল পৃথিবীতে। এতদিন ধরে চেষ্টা করার পর অবশেষে ফসল ফলাতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অ্যারাবিডোপসিস থালিয়ানা নামে এই গাছ চাষ করা হয়েছে চাঁদের মাটিতে। এই গাছ ব্রকোলি, ফুলকপি ইত্যাদি ফসলের সমকক্ষ। বিজ্ঞানীরা জনিয়েছেন, চাঁদের মাটির ফলন ক্ষমতা খুবই কম। কিন্তু এই সবজিগুলির চাষ হতেই পারে। সফলভাবে এই চাষ করেছেন ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা।
[আরও পড়ুন: বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলে কোনও রহস্যই নেই! অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীর দাবি ঘিরে শোরগোল]
নাসা (NASA) প্রশাসক বিল নেলসন বলেছেন, “ভবিষ্যতে মহাকাশ এবং চাঁদে থেকেই গবেষণা চালাবে মানুষ। সেই কারণেই চাঁদে খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করার কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেটুকু ফল পাওয়া গিয়েছে, তার উপরে ভিত্তি করেই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। এই গবেষণার ফলে লাভবান হবে পৃথিবীও। যেসব অঞ্চলের মাটি উর্বর নয়, সেখানে কীভাবে সফলভাবে চাষ করা যায় তা শেখা যাবে এই পদ্ধতিতে।”
চাঁদের মাটিতে চাষ হল কীভাবে? বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, “প্রথমে জল দিয়ে মাটিকে চাষের উপযোগী করে তোলা হয়। তারপর সাধারণ ভাবেই বীজ পোঁতা হয়। তারপরে প্রতিদিন প্রয়োজন মতো সার দিতেই গাছ গজিয়ে ওঠে। শুনতে সহজ লাগলেও এই কাজের নেপথ্যে রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম। কিন্তু সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, পৃথিবীর আবহাওয়ায় চাষ করা হলেও চাঁদের মাটিতে কি তা হতে পারে? বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা নেই। কিন্তু চাঁদের মাটিতে চাষ সংক্রান্ত নতুন তথ্য পাওয়ার পরে তাঁরা নিশ্চিত, অদূর ভবিষ্যতে কোনও উপায় ঠিকই বেরিয়ে আসবে।