সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি বলেছিলেন ২০২৫ সালে ভিনগ্রহীদের সংস্পর্শে আসবে পৃথিবী! বুলগেরিয়ার দৃষ্টিশক্তিহীন 'মহিলা নস্ত্রাদামুস' বাবা ভাঙ্গার বহু ভবিষ্যদ্বাণী ইতিমধ্যেই মিলে গিয়েছে। মিলবে কি এই ভবিষ্যদ্বাণীটিও? 'নিউইয়র্ক পোস্ট'-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গত ১৬ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এক অতিকায় মহাকাশযান ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। হয়তো নভেম্বরেই তারা পৌঁছে যাবে সূর্যের কাছাকাছি। এবং তারপর পৃথিবীর নজরের বাইরে চলে যাবে। মনে করা হচ্ছে, স্রেফ নজরদারি নয়, এরপর তারা হামলাও করতে পারে পৃথিবীতে।
১ জুলাই প্রথমবার ৩আই/অ্যাটলাস নামের এক জ্যোতিষ্ককে দেখতে পান বিজ্ঞানীরা। দেখা যায়, সেটি ১ লক্ষ ৩০ হাজার মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে ধেয়ে আসছে। আবিষ্কারের পরদিনই বোঝা গিয়েছিল, সেটি রয়েছে সৌরজগতের বাইরে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল ওই জ্যোতিষ্কটি ধুমকেতু। যার ব্যাস ১৫ মাইল। অর্থাৎ আকারে ম্যানহাটন শহরের চেয়েও বড়।
এরপরই চমকপ্রদ দাবি করেন গবেষক অ্যাভি লোব, অ্যাডাম হিবার্ব ও অ্যাডাম ক্রাউল। তাঁরা বলেন, ৩আই/অ্যাটলাস কোনও প্রাকৃতিক বস্তু নয় সম্ভবত। হতেই পারে সেটি ভিনগ্রহীদের নজরদারি প্রযুক্তিসম্পন্ন কোনও যান।
এই তিন গবেষকের অন্যতম লোব এর আগে ২০১৭ সালে 'ওউমুয়ামুয়া' নামের এক ইন্টারস্টেলার (যা সৌরজগতের বাইরের প্রতিনিধি) বস্তুকেও ভিনগ্রহীদের যান বলে দাবি করেছিলেন। এবার তিনি দাবি করছেন, এই রহস্যময় বস্তুটিও আসলে ভিনগ্রহীদেরই যান। আশঙ্কা, নভেম্বরে সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছে 'অদৃশ্য' হয়ে যাওয়াটা নেহাত কাকতালীয় ব্যাপার নয়। ইচ্ছে করেই পৃথিবীর বাসিন্দাদের নজর থেকে আড়ালে থাকার জন্য। এবং আপাতভাবে যতই মনে হোক, স্রেফ নজরদারি চালানো হচ্ছে- আসলে হয়তো এটা পৃথিবী আক্রমণের কৌশল! আর এতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একটা বিষয় নিশ্চিত- বস্তুটি ধুমকেতু হোক কিংবা ভিনগ্রহীদের যান, আগামী নভেম্বরে গোটা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা সেদিকেই লক্ষ্য রাখবেন।
