সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেকর্ড নাকি গড়া হয় ভাঙার জন্য। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এই কথাটি প্রযোজ্য। ভারতের মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে পূর্বসূরির রেকর্ড স্পর্শ করেই নয়া ইতিহাস গড়ে ফেললেন বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন তথা বেসরকারি মহাকাশ মিশন অ্যাক্সিয়ম ৪-এর অন্যতম সদস্য শুভাংশু শুক্লা। এরপর তো রেকর্ড ভাঙার সুযোগ রয়েছেই। ৪১ বছর আগে ভারতের নভশ্চর রাকেশ শর্মা মহাশূন্যে ভেসেছিলেন ৭ দিন ২১ ঘণ্টা। আর গত ৩ জুলাই, ২০২৫এ সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন শুভাংশু! সেসময় তাঁর মহাকাশে থাকার মেয়াদ ৭ দিন ২১ ঘণ্টা। এই প্রতিবেদন লেখার সময় সেই রেকর্ড ভেঙেই গিয়েছে। আর পূর্বসূরির সেই রেকর্ড ভাঙার মুহূর্তেই পরিবারের সঙ্গে স্পেস স্টেশন থেকে কথাও বলেছেন তিনি।
গত ২৫ জুন আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে নাসা, ইসরো, স্পেস এক্সের যৌথ উদ্যোগে অ্যাক্সিয়ম-৪ মিশনে চার নভশ্চরকে নিয়ে মহাকাশযান পৌঁছেছে স্পেস স্টেশনে। এই প্রকল্পের অন্যতম সদস্য ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন, বছর চল্লিশের শুভাংশু শুক্লা। তিনিই মহাকাশযানের চালক। দু'সপ্তাহ তাঁরা থাকবেন মহাকাশ স্টেশনে। এই সময়ের মধ্যে মোট ৬০ টি পরীক্ষানিরীক্ষা হবে। তার মধ্যে ৭টি হচ্ছে শুভাংশুর নেতৃত্বে। তিনি মূলত মাইক্রোগ্র্যাভিটি নিয়ে গবেষণা কাজের সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে আটদিন অতিক্রান্ত। চলছে নানা কাজকর্মও।
মহাকাশ স্টেশনে শুভাংশু-সহ চার নভশ্চর।
এরই মধ্যে শুভাংশু স্পেস স্টেশন থেকে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে খবর। কীভাবে মহাশূন্যে ভেসে রয়েছেন তাঁরা, সেই ছবিও শেয়ার করেছেন। এই মিশনের নেতৃত্বে থাকা অভিজ্ঞ মহাকাশচারী পেগি হুইটসন আবার বার্তা দিয়েছেন, ''আমরা সবাই শুধু হাসছি।'' অর্থাৎ তাঁরা যে আনন্দের সঙ্গেই নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন, তা স্পষ্ট।
১৯৮৪ সালে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার সয়ুজ ক্যাপসুলে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন ভারতীয় নভশ্চর রাকেশ শর্মা। ৪১ বছর পর শুভাংশু তাঁর পথ অনুসরণ করে গিয়েছেন স্পেস স্টেশনে। এক্ষেত্রে রাকেশ শর্মাই তাঁর 'রোল মডেল' বলে জানিয়ে ছিলেন শুভাংশু। এও বলেছেন, এই অভিযান থেকে 'গুরু'র জন্য বিশেষ কিছু নিয়ে আসবেন। এখনও তাঁদের ফিরতে আরও এক সপ্তাহ। তার আগে অবশ্য পূর্বসূরির মহাশূন্যে থাকার সময়সীমার রেকর্ড স্পষ্ট করলেন লখনউয়ের ভূমিপুত্র শুভাংশু।
