shono
Advertisement
Shubhanshu Shukla

প্রথম রাতে রীতি মেনে একসঙ্গে ‘ডিনার’ শুভাংশুর, ফিট রাখতে করছেন জিম

গবেষণার কাজের পর নিজেকে ফিট রাখতে জিম করছেন লখনউয়ের শুভাংশু।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 09:20 AM Jun 28, 2025Updated: 09:20 AM Jun 28, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ড্রাগন মহাকাশযান থেকে ডকিংয়ের পর আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা কাটিয়ে ফেললেন শুভাংশু শুক্লা। গত বৃহস্পতিবার তিনি ড্রাগন ক‌্যাপসুলে করে মহাকাশে যাওয়ার সময় জানিয়েছিলেন তাঁর মাথাটা খুব ভারী লাগছিল। যে কোনও মহাকাশচারীর প্রথম মহাকাশে গিয়ে একটু শারীরিক অস্বস্তি হয়। সেই অবস্থা কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। রাতে সকলের সঙ্গে একসঙ্গে খাবার খেয়েছেন। ঘুমিয়েছেন আট ঘণ্টা। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেদের পরিচ্ছন্ন করার জন‌্য দু’ঘণ্টা সময় পান মহাকাশচারীরা।

Advertisement

শুক্রবার সকালে কিছুক্ষণ গবেষণার কাজের পর নিজেকে ফিট রাখতে জিম করেন লখনউয়ের শুভাংশু। দুপুরে মধ‌্যাহ্নভোজও করতে দেখা যায় তাঁকে। প্রথম ভারতীয় হিসাবে স্পেস স্টেশনে পা রাখতেই তাঁকে জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন সেখানে আগে থেকে উপস্থিত মহাকাশচারীরা। অ‌্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানে অংশ নেওয়া শুভাংশু-সহ চার মহাকাশচারীকে ‘ওয়েলকাম ড্রিংক’ (স্বাস্থ‌্যকর খাবার) দিয়ে স্বাগত জানান তাঁরা। প্রথমদিন স্পেস স্টেশনে কেমন কাটল? এ প্রসঙ্গে শুক্লা বলেন, “আমার মাথাটা খুব হালকা লাগছে। তবে সেটা কোনও বড় ইস্য়ু নয়। আমরা আগামী ১৪ দিন এখানে থাকছি। এটা ভীষণ গর্বের ও আনন্দের মুহূর্ত। মহাকাশ জার্নির জন‌্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ পর্ব।”

ফুটবল মাঠের আয়তনের মাধ‌্যাকর্ষণহীন আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে আগামী দু’সপ্তাহ ১৬ বার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন শুক্লা। ৪০০ কিলোমিটার উঁচু থেকে পৃথিবীকে দেখতে কেমন লাগছে? এ প্রসঙ্গে শুক্লার জবাব, “পৃথিবীকে এমন স্থান থেকে দেখার সুযোগ পাওয়াটা একটা সৌভাগ্যের বিষয়। যাত্রাটা অসাধারণ ছিল। অসাধারণ! মহাকাশে আসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু যে মুহূর্তে আমি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে প্রবেশ করলাম, এই ক্রু সদস্যরা আমাকে এমন স্বাগত জানাল! তোমরা আক্ষরিক অর্থেই আমাদের জন্য তোমাদের ঘরের দরজা খুলে দিলে। এখানে আসার আগে আমার যা প্রত্যাশা ছিল, তা অবশ্যই ছাপিয়ে গিয়েছে। আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে, আগামী ১৪ দিন বিজ্ঞান এবং গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা অসাধারণ হবে। অনেক ধন্যবাদ।” স্পেস স্টেশন থেকে সম্প্রচারের ভিডিও থেকে জানা যায়, সাত মহাকাশচারী শুভাংশুকে সেখানকার সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলো বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এরপর রাতে সব মহাকাশচারীরা একসঙ্গে নৈশাহার করেন। পুরনো রীতি মেনে মহাকাশ কেন্দ্রে প্রথম আসা মহাকাশচারীকে প্রথম রাতে সবার সঙ্গে একসঙ্গে নৈশাহার করতে হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ড্রাগন মহাকাশযান থেকে ডকিংয়ের পর আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা কাটিয়ে ফেললেন শুভাংশু শুক্লা।
  • গত বৃহস্পতিবার তিনি ড্রাগন ক‌্যাপসুলে করে মহাকাশে যাওয়ার সময় জানিয়েছিলেন তাঁর মাথাটা খুব ভারী লাগছিল।
  • যে কোনও মহাকাশচারীর প্রথম মহাকাশে গিয়ে একটু শারীরিক অস্বস্তি হয়। সেই অবস্থা কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি।
Advertisement