shono
Advertisement

চন্দ্রপৃষ্ঠে ঠিক কীভাবে কাজ করছে রোভার প্রজ্ঞান? বোঝালেন চন্দ্রযান মিশনে যুক্ত বর্ধমানের অভিষেক

ঠিক কী জানালেন অভিষেক?
Posted: 06:13 PM Aug 25, 2023Updated: 06:13 PM Aug 25, 2023

ধীমান রায়, কাটোয়া: গত তিনদিনে রোভার প্রজ্ঞান যা বার্তা পাঠিয়েছে তাতে উচ্ছসিত মিশন চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan-3) এর অন্যতম সদস্য ভাতারের অভিষেক সাহা। গোটা মিশনে তাঁর মূল দায়িত্ব চাঁদের মাটিতে কী কী খনিজ পদার্থ এবং কী কী রাসায়নিক উপাদান রয়েছে তা দেখা। ইসরোর চন্দ্রাভিযানে অন্যতম শরিক হতে পেরে গর্বিত তিনি। অভিষেকের কথায়, ” আমরা সফল। এই তিনদিনেই রোভার প্রজ্ঞান যা বার্তা পাঠিয়েছে তাতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে তিনটি এমন মৌলের অস্তিস্বের সন্ধান মিলেছে যেগুলি দুষ্প্রাপ্য। তার মধ্যে একটি মৌল আমাদের দেশে একপ্রকার পাওয়াই যায় না।”

Advertisement

অভিষেক কর্মসূত্রে বর্তমানে বাঁকুড়াতেই বসবাস করেন। বাঁকুড়ার চাতরা রামাই পণ্ডিত মহাবিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের প্রধান। জানা গিয়েছে, মহাকাশ বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ুয়াদের জন্য ইসরো থেকে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক একটি করে নোডাল সেন্টার করা হয়েছে। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইণ্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেনসিং’ সেন্টার রয়েছে চাতরা রামাই পণ্ডিত মহাবিদ্যালয়েই। এই নোডাল সেন্টারের ডিরেক্টর অভিষেক সাহা। ভাতার থানার মুরাতিপুর গ্রামেই বাড়ি তাঁর। মাধ্যমিক পাশ করেন ভাতার মাধব পাবলিক হাইস্কুল থেকে। উচ্চ মাধ্যমিক পড়েছেন বর্ধমান টাউনস্কুলে। এরপর মানকর কলেজ থেকে ভুগোল বিষয়ে বিএসসি। এমএসসি পড়েছেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সমুদ্র বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি করেছেন। যুক্ত রয়েছেন চন্দ্রযান ৩ মিশনে।

[আরও পড়ুন: আইফেল টাওয়ার থেকে হাওড়া ব্রিজ, চাল ও আঠা দিয়ে সূক্ষ্ম কারিকুরিতে চমক রিষড়ার তপনের]

কীভাবে কাজ করছে রোভার প্রজ্ঞান? অভিষেক জানান, রোভার প্রজ্ঞান প্রতি সেকেণ্ডে এক সেন্টিমিটার করে মুভ করছে। প্রজ্ঞানের মূলত দুটি অংশ বা পে লোড। দুটিই কাজ করে চলেছে। একটি হচ্ছে লিবস (libs)। এর কাজ লেজারের মাধ্যমে একটি জায়গায় তাপ বিচ্ছুরণ ঘটানো। ওই বিচ্ছুরণ থেকে প্লাজমা তৈরি করা। সেখান থেকে নির্দিষ্ট খনিজ সম্পর্কে ধারনা পাওয়া। 

রোভার প্রজ্ঞানের আর একটি হচ্ছে আলফা পার্টিকেল এক্সরে এন্ড ফটোমিটার। এর থেকে চাঁদের মাটি থেকে বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে ফোটন কণা দেখে কী কী খনিজ রয়েছে তার ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। অভিষেকের কথায়, “আগে চাঁদের মাটি সম্পর্কে আমাদের ধারণা ছিল। মোটামুটি অনুমান আছে চাঁদের মাটিতে কী কী খনিজ বা রাসায়নিক থাকতে পারে। প্রজ্ঞান রোভারের মাধ্যমে এবার নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু খনিজের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যা ভারতে প্রায় মেলেই না। দুষ্প্রাপ্য সেই খনিজ।” এরকম আপাতত তিনটি দুষ্প্রাপ্য মৌলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে তার নাম জানাতে চাইছেন না অভিষেক। জানা গিয়েছে, প্রজ্ঞান রোভার চালু রাখতে প্রয়োজন প্রচুর বিদ্যুৎ। সেই শক্তির জোগান আসছে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে। তার জন্য রোভার প্রজ্ঞানকে সোলার প্যানেলের পোশাক পড়ানো রয়েছে। অভিষেক জানান, চাঁদের ভূমি চড়াই-উতরাই। প্রচণ্ড ঝুঁকির মধ্যেই কাজ করে চলেছে রোভার প্রজ্ঞান।

[আরও পড়ুন: ‘নীলকণ্ঠ নিবাসে’র আশ্রয়ে ছিলেন জ্বরে কাবু নেতাজি, সেই বাড়িতে পা রেখে আবেগাপ্লুত উত্তরসূরীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement