সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বট গাছ (Banyan Tree) অবাক করে দু’ভাবে। এক তো সে দীর্ঘজীবী হয়। যেমন গাছ রয়েছে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে (Botanical Garden)। যার বয়স কয়েকশো বছর। অন্যদিকে ঝুড়ি ফেলতে ফেলতে সে দখল নেয় বিরাট এলাকার। তা কখনও কখনও কিলোমিটার খানিকও হতে পারে। তাই বলে একটি গাছ ২০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত হতে পারে? কল্পবিজ্ঞানের গল্প নাকি?
না, কল্পবিজ্ঞান নয়, অবিশ্বাস্য শোনালেও এটাই সত্যি। সম্প্রতি এমন এক গাছেরই খোঁজ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার (Australia) একদল বিজ্ঞানী। উদ্ভিদটির নাম পোসিডোনিয়া অস্ট্রেলিস (Posidonia australis)। যা আসলে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে সমুদ্রঘাসের তৃণভূমি। যা মোট ২০০ কিমি জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। প্রশ্ন হল, তৃণভূমি হলে তা একটি গাছ কী করে হয়?
[আরও পড়ুন: ন্যাশনাল হেরাল্ড অধিগ্রহণে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! কী অভিযোগ রাহুল-সোনিয়াদের বিরুদ্ধে?]
উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিরাট তৃণভূমির চেহারা নিলেও একটি বীজ থেকেই ওই গাছটির জন্ম। আশ্চর্য উপায়ে সেটি নিজের প্রতিরূপ (Cloning) তৈরি করে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে এলাকার পর এলাকা জুড়ে। এবং রঙিন করে তোলে সমুদ্র উপকূল। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Wastern University of Australia) বিজ্ঞানীর সমদ্র তলদেশের উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা করছিলেন। সেই সময় তাঁরা পোসিডোনিয়া অস্ট্রেলিসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা চালান। তাতেই বোঝা যায়, সমুদ্র উপকূলের তলদেশ বিরাট তৃণভূমির চেহারা নিলেও আসলে তা আদতে একটিমাত্র উদ্ভিদ। একটিই ডিএনএ-র ওই বাড়-বাড়ন্ত। এই ঘটনায় বিজ্ঞানীরাও অবাক হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্ত, ঝাড়খণ্ড সরকারের নির্দেশে ‘বদলার’ অভিযোগ বিরোধীদের]
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্ভিদ বিজ্ঞানী জন এডগেলো (Jane Edgeloe) বলেন, “এটি আসলে একটিমাত্র উদ্ভিদ, যেটি প্রায় ২০০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে। অর্থাৎ এটি বিশ্বের বৃহত্তম উদ্ভিদ।” উল্লেখ্য, পোসিডোনিয়া অস্ট্রেলিস হারিয়ে দিল আমেরিকার উদ্ভিদ প্যান্ডোকে (Pando) হারিয়ে দিল। অস্ট্রেলিসের খোঁজ পাওয়ার আগে অবধি প্যান্ডোই ছিল বিশ্বের বৃহত্তম উদ্ভিদ। ঠিক অস্ট্রেলিসের মতোই নিজের প্রতিরূপ তৈরি করে প্যান্ডো ছড়িয়ে পড়ে বিশাল এলাকাজুড়ে।