সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেন হাতে চাঁদ পেলেন বিজ্ঞানীরা! তা-ও আবার চেনাজানা সৌর জগতের বাইরে। আট হাজার আলোকবর্ষ দূরে শক্তিশালী হাবল এবং কেপলার টেলিস্কোপ দিয়ে বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন আস্ত একটা নতুন চাঁদ। নাম ‘এক্সোমুন’। মানে, আলোর গতিতে ছুটলে সেই চাঁদে পৌঁছতে আমাদের সময় লাগবে আট হাজার বছর। আমেরিকার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানের দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডেভিড কিপিং ও অ্যালেক্স টিকের গবেষণাপত্রটি গত ২৬ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স’-এ।
[গৌরবময় সাফল্য ইসরোর, চারবছর পরও সক্রিয় মঙ্গলে পাঠানো উপগ্রহ]
গবেষণাপত্রটির শিরোনাম- ‘অন দ্য ডেয়ার্থ অফ গ্যালিলিয়ান অ্যানালগ্স ইন কেপলার অ্যান্ড দ্য এক্সোমুন ক্যান্ডিডেট কেপলার-১৬২৫-বি’। সহযোগী গবেষকদের মধ্যে ছিলেন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লুনার সায়েন্স অবজারভেটরির ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী বিষ্ণু রেড্ডি। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা মান্যতা পেতেই খবরের শিরোনামে এক্সোমুন। ‘সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই এক্সোমুন আকারে বিরাট বড়। অনেকটা নেপচুনের মতো। তাই এর আগে একবার নামকরণ করা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানাচ্ছেন, “এক্সোমুনের মতো সাইজের চাঁদ আমাদের সৌরমণ্ডলে নেই। এবং এটাই সৌরমণ্ডলের বাইরে খুঁজে পাওয়া প্রথম চাঁদ।”
[নাসাকে টপকে চাঁদে মানুষ পাঠাচ্ছে বেসরকারি সংস্থা ‘স্পেস এক্স’]
এক্সোমুনকে খুঁজে পাওয়ার ইতিহাসটাও বেশ কঠিন। কেপলার টেলিস্কোপের চিহ্নিত করা প্রায় ৩০০ গ্রহ-গ্রহাণুকে পরীক্ষা করার পর এক্সোমুনকে খুঁজে বার করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। সৌরজগতের বাইরে এই চাঁদের অস্তিস্তের সন্ধান জ্যোতির্বিজ্ঞানে নতুন অধ্যায় খুলে দিল বলে মনে করছেন গবেষকরা।