shono
Advertisement

মঙ্গলে জলের ভাণ্ডার ছিল প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি বছর আগে! নয়া তথ্য জাপানি বিজ্ঞানীর

উল্কাপিণ্ডের অংশ পরীক্ষা করে এই দাবি তাঁর।
Posted: 10:59 AM Nov 02, 2020Updated: 12:23 PM Nov 02, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ নয়, হাজার বা লক্ষ বছর আগেও নয়। মঙ্গলে (Mars) জলের উৎপত্তি হয়েছিল আনুমানিক ৪৪০ কোটি বছর আগে। উল্কাপিণ্ডের অংশ খতিয়ে দেখে এমনটাই দাবি করেছেন জাপানের একদল গবেষক। ফলে সম্প্রতি লাল গ্রহ নিয়ে গবেষণায় সেখানে যে তিনটি জলধারার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, তা কি এত কোটি বছর আগেকারই? প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

কিন্তু উল্কার (Meteor) সঙ্গে মঙ্গল গ্রহের কী সম্পর্ক? বুঝিয়ে বলা যাক। বেশ কিছু বছর আগে সাহারা মরুভূমি থেকে বিজ্ঞানীরা একজোড়া উল্কাপিণ্ড আবিষ্কার করেছিলেন। ওই প্রাচীন উল্কাপিণ্ডগুলির নামকরণ করা হয়েছিল যথাক্রমে NWA 7034 এবং NWA 7533। দফায় দফায় নানাবিধ পরীক্ষানিরীক্ষার পর জানা যায়, সেই উল্কাপিণ্ডগুলি আদপে মঙ্গল গ্রহজাত। কারণ, তাতে যে ধরনের শিলাসমূহের উপস্থিতি রয়েছে, তা কেবলমাত্র পৃথিবীর পড়শি গ্রহটিতেই মেলে।

[আরও পড়ুন: চাঁদের সূর্যালোকিত অংশেও রয়েছে জল! এতদিনের ধারণা ভেঙে বৈপ্লবিক আবিষ্কার নাসার]

এই ধরনের শিলা অতি-বিরল শ্রেণির। বিক্রি হলে প্রতি গ্রামে দাম উঠতে পারে ১০,০০০ ডলার পর্যন্ত। সম্প্রতি এর মধ্যে NWA 7533 পিণ্ডটির ৫০ গ্রাম অধিগ্রহণ করা হয় আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দলের তরফে, আরও ভালভাবে পরীক্ষা করার জন্য। ওই দলেই ছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ টোকিওর অধ্যাপক তাকাশি মিকৌচি। গবেষণার পরে মিকৌচি বলছেন, “আমরা ওই নমুনা নিয়ে চারটি আলাদা আলাদা স্পেকট্রোস্কোপিক পরীক্ষা করেছি। আর তাতেই মিলেছে অভূতপূর্ব ফলাফল।” মিকৌচির দাবি, শিলার গঠন সংক্রান্ত ওই পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে মঙ্গল গ্রহে জল উৎপন্ন হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু অন্তত ৪৪০ কোটি বছর আগে। তাঁর পর্যবেক্ষণ প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ নামের জার্নালে।

[আরও পড়ুন: শূ্ন্যে ভেসেও ভোটদান! মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মহাকাশ স্টেশন থেকে ভোট দিলেন নভোচর]

এতদিন বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল যে, মঙ্গলে জলের উৎপত্তি হয় অন্তত ৩৭০ কোটি বছর আগে। মিকৌচি ও তাঁর দল জানিয়েছে, উল্কাপিণ্ডগুলিতে যে আগ্নেয় শিলা মিলেছে, তার উৎপত্তি হয়েছে ম্যাগমা থেকে। এতে শিলার জারণ হয়েছে বলে প্রমাণও মিলেছে। কিন্তু এই জারণ প্রক্রিয়া তখনই সম্ভব, যখন সেখানে জলের অস্তিত্ব থাকবে। জাপানি বিজ্ঞানীর এই রিপোর্ট লাল গ্রহ সম্পর্কে কৌতূহল আরও উসকে দিল, তা বলাই বাহুল্য। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement