সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকাশে একদিন আধিপত্য বিস্তার করবে মানুষ। এই স্বপ্ন বহু যুগ ধরে লালন করে আসছেন মহাকাশপ্রেমীরা। কিন্তু মহাকাশ যে বড় কঠিন ঠাঁই, তা বারবার অনুভূত হয়েছে। এবার বিজ্ঞানীরা সাক্ষী হলেন এমন এক দৃশ্যের, যা বয়ে আনল অশনি সংকেত। বুঝিয়ে দিল সুদূর মহাকাশের (Deep Space) আবহাওয়া কতদূর পর্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে!
কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইউতা নৎসুর নেতৃত্বে এক গবেষক দল টেলিস্কোপের মাধ্যমে খুঁজে পেয়েছে সূর্যের (Sun) মতোই এক নক্ষত্র। বয়সে অবশ্য সেটি সূর্যের থেকে কমবয়সি। সৌরঝড়ের কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু ‘এক ড্রাকোনিস’ নামের এই নক্ষত্রে যে মহাজাগতিক ঝড়, তার কাছে সূর্যের সবচেয়ে ভয়ংকর ঝড়ও তুচ্ছ। প্রসঙ্গত, সৌর ঝড়ের সময় সূর্য থেকে যে বিপজ্জনক আগুনের বল ছিটকে আসে তার গড়ন প্লাজমার মতো। সেগুলি বিপজ্জনক গতিতে মহাকাশে ছুটে হারিয়ে যায়। এই নবীন নক্ষত্রের ক্ষেত্রে আগুনে গোলার ভয়াবহতা সূর্যের সবথেকে নিকৃষ্ট ঝড়ের চেয়েও ১০ গুণ বেশি!
[আরও পড়ুন: ভাঙল এতদিনের ধারণা! বৃহস্পতির চেয়েও ১০ গুণ বড় গ্রহ দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা]
বিজ্ঞানী ইউতা নৎসু জানাচ্ছেন, ”করোনাল মাস ইজেকশন কিন্তু পৃথিবী তথা মানব সমাজের পক্ষে অত্যন্ত বিজ্জনক।” তবে এই নক্ষত্র পৃথিবীর চেয়ে ঢের দূরে অবস্থিত। যোজন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ওই নক্ষত্রকে দেখে কী ভাবছেন বিজ্ঞানীরা? এপ্রসঙ্গে নৎসুর বক্তব্য, ”অন্তত তত্ত্বগত ভাবেই ধরে নেওয়া যেতেই পারে, একদিন এই ধরনের উদগীরণ আমাদের সূর্যেও হয়েছিল। সেই কারণেই এই ঘটনাকে প্রত্যক্ষ করে যে ফল পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে কোটি কোটি বছর আগে পৃথিবী থেকে মঙ্গল, সৌরজগতের গ্রহগুলির কী অবস্থা হয়েছিল তা অনুমান করা যায়।”
পাশাপাশি এই মহাজাগতিক দৃশ্য যে ভবিষ্যতে মানুষের মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে বাড়তি সাবধানতার বার্তা বয়ে আনছে তাও জানাচ্ছেন গবেষকরা। বয়সের হিসেবে ড্রাকোনিস মাত্র ১০ কোটি বছর বয়সি। মহাজাগতিক হিসেব নিকেশে তাকে নিতান্তই অল্পবয়সি নক্ষত্র বলে ধরা হচ্ছে। তার আকৃতি প্রায় পৃথিবীরই সমান।