গৌতম ব্রহ্ম: বিরোধীদের আপত্তি উড়িয়ে বিধানসভায় (Assembly) ভোটাভুটিতে পাশ হল দ্য ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল বা সার্চ কমিটি সংক্রান্ত বিল। ১২০-৫১ ভোটে বিলটি পাশ হয়ে যায়। তবে তা আইন হওয়ার পথ কতটা মসৃণ, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ, বিলটি আটকাতে শুক্রবারই রাজভবনে গিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা (BJP MLA)। এই আইনের বিরোধিতার কথা তাঁরা জানান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে (C V Anand Bose)।
এদিন অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধ্বে পেশ হয় বিলটি। বিরোধীরা এই বিলের উপর সংশোধনীর আবেদন রাখেন, বিলটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। বিরোধী বিধায়ক আনন্দময় বর্মন, অনুপ কুমার দাস, শংকর ঘোষরা এই বিলের বিরোধিতা করে তা সিলেক্ট কমিটিতে (Select Committee) পাঠানোর কথা বলেন। উলটোদিকে শাসকদলের বিধায়ক রফিকুল ইসলাম, রানা চট্টোপাধ্যায়, সপ্তশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় বিলকে সমর্থন জানান। বিজেপি (BJP) বিধায়কদের হইহট্টগোলের পর আবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। বিলের উপযোগিতার কথা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে তাঁর আবেদন, সহমতের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে সমর্থন করুন সকলে।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট]
নয়া এই বিল আইনে পরিণত হলে সার্চ কমিটিতে থাকবেন রাজ্যপালের প্রতিনিধি, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি, ইউজিসি-র চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি ও উচ্চ শিক্ষাদপ্তরের প্রতিনিধি। মোট ৫ জনকে নিয়ে তৈরি হবে কমিটি, যার হাতে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা। বিজেপি পরিষদীয় দলের অভিযোগ, এই বিল আইনে পরিণত হলে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের হাতে চলে যাবে। তাতেই আপত্তি তাঁদের। তাই রাজ্যপালের কাছে বিধায়কদের অনুরোধ, বিলটিতে যেন সই না করা হয়। এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর পালটা প্রতিক্রিয়া, যদি রাজ্যপাল বিলে সই না করেন, তাহলে প্রমাণিত হবে, তৃণমূল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষপাতিত্বের যে অভিযোগ তোলে, তা সত্যি।