ইস্টবেঙ্গল: ০
মোহনবাগান: ০
সুলয়া সিংহ: গোলশূন্যভাবেই শেষ হল মরশুমের প্রথম ডার্বি। যুূবভারতীতে উপস্থিত ৬৫ হাজার দর্শককে খানিকটা হতাশ হয়েই ফিরতে হল। টানটান উত্তেজনায় উপভোগ্য ম্যাচ হলেও, গোলের খেলা ফুটবলে দেখা মিলল না গোলেরই।
ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ। স্বাভাবিকভাবেই আবেগ ছিল অন্যবারের থেকে বেশি। ডার্বির আগে অনেকেই এগিয়ে রাখছিলেন ইস্টবেঙ্গলকে। আসলে, ডার্বির আগে লাল-হলুদকে অনেক বেশি ঝকঝকে ও সাবলীল দেখাচ্ছিল। মোহনবাগান চিন্তিত ছিল রক্ষণ নিয়ে। কিন্তু, ডার্বিতে কোনও কৌশল, কোনও প্রেডিকশনই যে কাজ করেনা তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল মরশুমের প্রথম ডার্বি। ইস্ট-মোহনের মহারণ শেষ হল গোলশূন্যভাবেই।
[আরও পড়ুন: ডার্বির টিকিট নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ, ক্ষুব্ধ সমর্থকরা]
এদিন সবাইকে খানিকটা অবাক করে দিয়েই কোলাডোকে বাইরে রেখে দল সাজিয়েছিলেন আলেজান্দ্রো। বদলে, দলে সুযোগ পান আনকোরা মার্কোস। অন্যদিকে মোহন কোচ ভিকুনা প্রথম একাদশে রাখেননি দলের একমাত্র বিদেশি স্ট্রাইকার চামোরোকে। আসলে, তিনি চাইছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে মরণ-কামড় দিতে। কিন্তু, ইস্টবেঙ্গল কোচের কোলাডোকে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে যায়। প্রথমার্ধে মাঝমাঠ পুরোপুরি দখল করে রাখে মোহনবাগান। ফ্রান গঞ্জালেজ, বেইতিয়ারাই ছিলেন মোহনবাগানের চালিকা শক্তি। কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে সবুজ মেরুন। প্রথমার্থে সুহের গোলকিপারের সঙ্গে ওয়ান-অন-ওয়ান সুযোগ নষ্ট না করলে হয়তো মোহনবাগান এক গোলে এগিয়ে যেতেই পারত। তবে, ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণেরও প্রশংসা করতে হয়। বিশেষ করে কমলপ্রিত এবং অভিষেক আম্বেকর এদিন নজর কেড়েছেন।
[আরও পড়ুন: ডার্বির আগে দুরন্ত ছন্দে ইস্টবেঙ্গল, কোলাডোর জোড়া গোলে পরাস্ত এরিয়ান]
ম্যাচের শুরু থেকেই মুর্হুর্মুহু আক্রমণে যায় মোহনবাগান। কিন্তু, ফাইনাল থার্ডে ভুল পাসিং এবং স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতার জেরে গোল পায়নি সবুজ মেরুন। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা কামব্যাক করে ইস্টবেঙ্গল। কয়েকটি সুযোগও পায় লাল-হলুদ। দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে সহজ সুযোগ পেয়েও দেবজিতের দক্ষতার কাছে হার মানতে হয় পিন্টু মাহাতোকে। শেষদিকে, আবার পালটা আক্রমণ শুরু করে মোহনবাগান। কিন্তু, ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের দেওয়াল ভাঙা সম্ভব হয়নি।
The post টানটান ম্যাচ, গোলশূন্যভাবেই শেষ মরশুমের প্রথম ডার্বি appeared first on Sangbad Pratidin.