সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল সিপিএম। তবে সেই তালিকায় প্রার্থী সংখ্যা মোটে ৪। প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন তিনি। এছাড়াও রানাঘাট, বোলপুর ও বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
সিপিএমের টিকিটে রানাঘাট থেকে লড়বেন অলোকেশ দাস, বোলপুর শ্যামলী প্রধান এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন সুকৃতি ঘোষাল। এর আগে মোট ১৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বামেরা। সবমিলিয়ে মোট ২১ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল তারা। তবে ২১ বাকি আসনে প্রার্থী দিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়ে দিলেন বিমান বসু। কারণ আসনগুলি নিয়ে শরিকদের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলছে। সহমত হওয়ার পরই বাকি প্রার্থীদের নাম ধোষণা করা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘তিহার জেলে স্বাগত’, কেজরিওয়ালকে আগাম অভ্যর্থনা ‘ঠগবাজ’ সুকেশের]
এক নজরে প্রার্থীদের পরিচয়
মহম্মদ সেলিম: পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। বর্তমানের সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। ২০১৪-২০১৯ পর্যন্ত রায়গঞ্জের সাংসদ ছিলেন। এবার তিনি মুর্শিদাবাদ আসন থেকে লড়াই করবেন। মনে করা হচ্ছে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নিজের জেলা থেকে সেলিম প্রার্থী হওয়ায় হাত শিবিরের সাহায্য অনেকটাই পাবেন তিনি।
অলোকেশ দাস: লালশিবিরের পুরনো ভরসাস্থল তিনি। ২০০৩ সালে প্রথমবার নবদ্বীপ লোকসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জেতেন। এর পর ২০০৪ সালে ফের তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। এবার রানাঘাট থেকে তাঁকেই প্রার্থী করল দল।
শ্যামলী প্রধান: এর আগে দুবার ভোটের মঞ্চে লড়াই করেছেন শ্যামলী। ২০১১ সালে নানুর গদাধর হাজরার বিরুদ্ধে লড়াই করে হেরেছিলেন তিনি। এর পর ফের ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে গদাধরের বিরুদ্ধেই লড়াই করেন। জিতেও ছিলেন। দলের প্রাক্তব বিধায়ককেই এবার লোকসভার ময়দানে নামাল বামেরা। রামচন্দ্র ডোমের আসনে তিনি লড়াই করছেন তিনি।
ড. সুকৃতী ঘোষাল: ২০২০ সালে শিক্ষারত্ন পুরস্কার দিয়েছিল রাজ্য সরকার। ছাত্র রাজনীতির মধ্যে দিয়ে সিপিএমের সদস্য় হওয়া। পরে অধ্যাপক আন্দোলনে যুক্ত হন। বর্তমানে নতুন চিঠি পত্রিকার প্রকাশনার দায়িত্বে রয়েছেন। তবে সংসদীয় রাজনীতিতে ভোটের ময়দানে তিনি একেবারেই আনকোরা।