সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তমে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। রাজধানী খারকভ ও কিয়েভ-সহ ইউক্রেনের শহরগুলিতে আছড়ে পড়ছে রুশ মিসাইল। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বেলারুশে দ্বিতীয়বার বৈঠকে বসলেন যুযুধান দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
[আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমর্থন আদায়ে ভারতকে ‘টোপ’ ফ্রান্সের]
এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এই বৈঠকের কথা জানায় রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক। ওই টুইটে লেখা রয়েছে, “বেলারুশের জমিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেছেন। আমরা আশা করছি এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং দোনবাস অঞ্চলে শান্তি ফিরবে ও ইউক্রেনের সমস্ত মানুষ আবারও শান্তিপূর্ণ জীবনে ফিরে যাবে।” বিশ্লেষকদের মতে, এখন ও কিয়েভ দখল করতে না পারায় চাপে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাই ভয়ংকর লড়াই চললেও আলোচনার টেবিলে আবারও বসেছে মস্কো। সূত্রের খবর, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে দুই পক্ষের মধ্যে। একইসঙ্গে, ইউক্রেনের জেলেনস্কি সরকারকে উৎখাত করার উপর আবার জোর দেবেন রুশ প্রতিনিধিরা।
এদিকে, দেশে থাকা রাশিয়া ও রুশ নাগরিকদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তাব পাশ করল ইউক্রেনের পার্লামেন্ট। একইসঙ্গে, এগিয়ে আসা রুশ সেনাকে রুখতে দেশের নাগরিকদের গেরিলা যুদ্ধ শুরু করার ডাক দিয়েছে জেলেনস্কি সরকার। মস্কো বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটছে আমেরিকাও। কিয়েভকে মদত দিতে ১০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে ইটালি, জার্মানি-সহ ন্যাটো সামরিক ঘাঁটিগুলিকে আণবিক যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছে ওয়াশিংটন বলেও খবর।
উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমেই ঘনাচ্ছিল যুদ্ধের মেঘ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন পুতিনকে হুঁশিয়ারিও দেন। কিন্তু সব হুঁশিয়ারিকে অগ্রাহ্য করে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রুশ সেনা। কিন্তু অভাবনীয় প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে পুতিন বাহিনীকে। এর ফলে কিছুটা অস্বস্তিতে রাশিয়া। তবু আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এরই মধ্যে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর খেরসন দখল করে ফেলেছে রুশ সেনা। এবার তাদের পরবর্তী টার্গেট দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ওডেসা। এদিকে গত সপ্তাহেই রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছিল রুশ সেনা (Russia-Ukraine War)। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শহর তাদের দখলে আসেনি। ফলে উত্তরোত্তর আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে চলেছে রাশিয়া।