গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: সুকান্ত মজুমদার-সহ বিজেপি নেতৃত্ব যাওয়ার আগেই ফের সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন। সন্দেশখালির মোট ১৯ টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন। জারি থাকবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অশান্তির আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত বলেই খবর।
মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা খারিজ করে কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষেণ ছিল, রাজ্য এমন কোনও নথি রাজ্য দেখাতে পারেনি যার জেরে মানতে হবে গোটা থানা এলাকায় ১৪৪ ধারার প্রয়োগ জরুরি ছিল। ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার হওয়ায় বুধবার সন্দেশখালি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুকান্ত মজুমদার। তবে তার আগেই নতুন করে সন্দেশখালিতে জারি হল ১১ ধারা। মঙ্গলবার রাত ২ টো নাগাদ নতুন করে নির্দেশিকা জারি করে প্রশাসন। সন্দেশখালি থানা এলাকার সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ জায়গায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। যদিও চালু রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সকাল থেকে মাইকিং চলছে এলাকায়।
[আরও পড়ুন: এক কোটি পরিবারকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ! প্রকল্পের সূচনা মোদির, কীভাবে আবেদন করবেন?]
কিন্তু কেন আচমকা ফের ১৪৪ ধারা? প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিজেপির সন্দেশখালি অভিযানকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি ছড়াতে পারে এলাকায়। সেই আশঙ্কা থেকেই ফের ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিজেপির এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বসিরহাট। কর্মীদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে এসপি অফিসের সামনে ধরনায় বসেন খোদ রাজ্য বিজেপি সভাপতি। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ রীতিমতো বলপ্রয়োগ করে সরানো হয় তাঁদের। আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় স্টেডিয়ামে। পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়া হয় সকলকেই। রাতে টাকিতেই ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। আজ অর্থাৎ বুধবার তাঁর যাওয়ার কথা সন্দেশখালিতে।