সুকুমার সরকার, ঢাকা: ধর্মনিরপেক্ষ মানে ধর্মহীন বাংলাদেশ (Bangladesh) নয়। এক ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এমনটাই বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপুমণি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সব মানুষের নিজের নিজের ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘একটি মন্দিরও ধ্বংস হয়নি’, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি নিয়ে নতুন বিবৃতি বিদেশমন্ত্রীর]
শুক্রবার চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় আওয়ামি লিগ আয়োজিত আন্তঃধর্মীয় সংলাপ এবং হাজীগঞ্জে বিভিন্ন মন্দিরে হামলা ও সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে আর্থিক সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপুমণি বলেন, “বাংলাদেশে নানা ধর্মের নানা ভাষার মানুষ পাশাপাশি বসবাস করছেন। এখানে যার যার ধর্ম বা উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছে সবাই। আজকে এই হাজীগঞ্জ-সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে, এটা জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে করা হয়েছে। আজকে প্রতিটি ঘটনার তদন্ত চলছে। যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দুদে উপর হামলার ঘটনার নেপথে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই ইঙ্গিত দেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আমরা দেখেছি এক সময় ধর্মের নামে নির্যাতন হয়েছিল। তারা (পাকিস্তান) একাত্তরে এমন করেছে, এখনও করে যাচ্ছে। এটি তাদেরই কাজ। আমরা মনে করি অশুভ শক্তির চেয়ে এখানে শুভ শক্তির মানুষের সংখা বেশি। তাই আমরা অশুভ অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব। যেভাবে আমরা অসম্প্রদায়িক দেশ গড়ার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর সময় কিছু জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মনোবল বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ এক অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশে সকল ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করবে। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।” তিনি প্রত্যেক বাংলাদেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন, “ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।” এই প্রসঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধুর কথাও তুলে ধরেন।