নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সংসদে অধিবেশন চলাকালীন হামলার অভিযোগে আটক হল চারজন। তার মধ্যে রয়েছে এক মহিলা। ইতিমধ্যেই সংসদে পৌঁছে গিয়েছে আইবির তদন্তকারী দল। এছাড়াও ধৃতদের বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে আইবি। কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে ধৃতদের যোগ রয়েছে কিনা সেটাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সংসদের ভিতরে ঢোকেন সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি। মাইসুরুর একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া সাগর। মনোরঞ্জনও মাইসুরুর বাসিন্দা। বুধবার লোকসভায় অধিবেশন চলাকালীন সাংসদ খগেন মুর্মুর বক্তব্যের মাঝেই তাণ্ডব চালান দুজন। তদন্তে জানা গিয়েছে, হামলার সময়ে সংসদের (Parliament) বাইরে দাঁড়িয়েছিল আরও দুজন। আপাতত তাঁদের আটক করেছে আইবি।
[আরও পড়ুন: ‘মুসলিম বলে মিলছে না ঘরভাড়া’, সোশাল মিডিয়ায় যুবকের পোস্টে তুঙ্গে বিতর্ক]
সূত্রের খবর, বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা দুজনের মধ্যে একজন মহিলা। হরিয়ানার বাসিন্দা ওই মহিলার নাম নীলম সিং। অপরজন মহারাষ্ট্রের অমল শিণ্ডে। আইবি সূত্রে জানা গিয়েছে, চার অভিযুক্তের সম্পর্কে বিশদে খোঁজখবর চলছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাদের ফোন। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে তাদের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইবি আধিকারিক। কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আটক করার সময়ে নীলম জানান, বেকারত্বের প্রতিবাদ করতে চেয়েই তাঁদের এই পদক্ষেপ। ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানও শোনা যায় তাঁর মুখে। উল্লেখ্য, বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার অনুমোদন পেয়েই সংসদের ঢুকেছিল দুই আততায়ী। জয় ভীম স্লোগান দিয়ে সংসদে গ্যাস ছোড়ে তারা। মূলত দলিতদের স্লোগান বলেই পরিচিত ‘জয় ভীম’। কিন্তু অভিযুক্ত চার আততায়ী এবং প্রতাপ সিমহা- তাদের মধ্যে চারজনই উচ্চবর্ণের। তাদের মুখে দলিত স্লোগান কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।