শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: গত ২ অক্টোবর রাতে মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ায় রেভ পার্টিতে অংশ নিয়ে বিপাকে শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান (Aryan Khan)। তারকাপুত্রের গ্রেপ্তারি নিয়ে সরগরম বলিউড। আইনি টানাপোড়েনের শেষে গত বৃহস্পতিবার বম্বে হাই কোর্টে জামিন পান আরিয়ান। শনিবারই আর্থার রোড জেল থেকে মন্নতে ফেরেন কিং খানের সন্তান। তারই মাঝে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে গাঁজা পাচারের দায়ে ধৃত এক কারারক্ষী। শনিবারই জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয় তাকে।
এ যেন সরষের মধ্যে ভূত! নিয়মপালন করা যার দায়িত্ব তার বিরুদ্ধেই উঠছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। এমনকী অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়েছে সে। কাঠগড়ায় জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের কারারক্ষী মহম্মদ মফিজুদ্দিন।
[আরও পড়ুন: পাশে নেই জুহির মতো জামিনদার, আরিয়ান কারামুক্ত হলেও বান্ধবী মুনমুনের বাড়ি ফেরা অনিশ্চিত]
গাঁজা যে নিষিদ্ধ, তা জানে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের কারারক্ষী। তা সত্ত্বেও সংশোধনাগারের ভিতরেই গাঁজা পাচার করেছে সে। অভিযোগ, সাজাপ্রাপ্তদের হাতে গাঁজা পৌঁছে দিত সে। তার বিনিময়ে আদায় করত মোটা অঙ্কের টাকা। গোপন সূত্রে সে খবর বারবারই জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানার পুলিশের কাছে আসে। সেই অনুযায়ী শুরু হয় তদন্ত।
অবশেষে শনিবার সকালে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় তাকে। মহম্মদ মফিজুদ্দিনের কাছ থেকে দশ প্যাকেট গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্নের ভিড়। প্রশ্ন উঠছে, ওই কারারক্ষী কতদিন ধরে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে গাঁজা পাচার করত, গাঁজা পাচার চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।