সুকুমার সরকার, ঢাকা: বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শুক্রবার বাংলাদেশে (Bangladesh) বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ উদযাপিত হবে। বাংলাদেশে ডঃ মুহম্মদ শহিদুল্লাহ প্রণীত পঞ্জিকা অনুসরণ করা হয়ে থাকে। রাজধানী ঢাকায় প্রতি বছর নববর্ষ (Poila Boisakh) উদযাপিত হয়ে থাকে রমনা পার্ক ও সুরাবর্দি উদ্যান ঘিরে। মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই চলে বর্ষবরণের উৎসব। নববর্ষ পালনের জন্য একেবারে প্রস্তুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও মঙ্গল শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করতে চেয়ে একজন আইনজীবী হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। সেই সঙ্গে জঙ্গি হামলার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
২০০১ সালের পয়লা বৈশাখ রমনা বটমূলে ছায়ানটের বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় দশ জন নিহত এবং শতাধিক দর্শক জখম হয়েছিলেন। নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার ঢাকা (Dhaka) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি ও নববর্ষ উদযাপনের সার্বিক আয়োজন পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মহম্মদ আখতারুজ্জামান। ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হবে। শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় হয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরবাইক চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ। ক্যাম্পাসে নববর্ষের সকল অনুষ্ঠান বিকেল পাঁচটার মধ্যে শেষ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: বিশ্বজয়ের পুরস্কার, বাংলার তিন মহিলা ক্রিকেটারের হাতে অর্থ তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী]
পয়লা বৈশাখ উদযাপন শেষে বিকাল ৪টায় রমনা পার্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে অনুরোধ জনিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। রমনার বটমূলে ব্যাগ নিয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ বরণ উপলক্ষে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “আশা করি আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারব।” ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ঢাকা মহানগর পুলিশ সব ধরণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। ঢাকাবাসী সকলেই প্রাণখুলে নববর্ষ পালন করতে পারবেন।”
এদিকে নববর্ষ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার রমনা বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, শাহবাগ-সহ যেসব জায়গায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, সেসব স্থানে এলিট বাহিনী র্যাবের নিরাপত্তা চৌকি, টহল ও পর্যবেক্ষণ-সহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র্যাবের বম্ব স্কোয়্যাড ও ডগ স্কোয়্যাড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এ ছাড়া যেকোনো উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব সর্বক্ষণ প্রস্তুত থাকবে।