সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানি জঙ্গি খুনে কানাডা ও ভারতের মধ্যে তুঙ্গে টানাপোড়েন। একে অপরের কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে দুই দেশ। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে দিল্লিতে অবস্থিত কানাডার দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়িয়ে তোলা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, কানাডার দূতাবাসের নিরাপত্তায় সিআরপিএফ ও দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, খলিস্তান বিতর্কে কানাডার প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে। ফলে দেশটির দূতাবাসে হামলার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ছবি কালিমালিপ্ত করতে ‘ফল্স ফ্ল্যাগ’ অ্যাটাক চালাতে পারে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তাই দূতাবাসের নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখতে চাইছে না প্রশাসন। তাই অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: একটি খুনেই ভারত-কানাডা সংঘাত! পর্দার আড়ালে চলছে কোন ভয়ানক খেলা?]
গত সোমবারই কানাডার নাগরিক তথা খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতের (India) হাত থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তাঁর এই ঘোষণার খানিকক্ষণ পরেই কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি জানান, এক উচ্চপদস্থ ভারতীয় কূটনীতিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। পালটা মঙ্গলবার কানাডার এক কূটনীতিককে পাঁচদিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে বলেছে নয়াদিল্লি।
উল্লেখ্য, ১৮ জুন, ২০২৩ কানাডায় গুলি করে খুন করা হয় কুখ্যাত খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে (Hardeep Singh Nijjar)। সুরেতে একটি গুরুদ্বারের সামনে খলিস্তান টাইগার ফোর্সের প্রধানের উপর গুলিবৃষ্টি করে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা। কে বা কারা নিজ্জর হত্যায় যুক্ত তা এখনও জানা যায়নি। তবে কানাডা সরকারের অভিযোগ, এই ঘটনার নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে নিজ্জরকে খতম করেছে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’ (Research and Analysis Wing)।