সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্দেশটা আগেই এসেছিল। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সেই নির্দেশ মতোই স্থগিত হয়ে থাকা ব্রিটিশ জমানার রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের (Sedition law) খোলনলচে বদলে আবার চালু করার কথা জানাল কেন্দ্রের মোদি সরকার। কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ধারা এবং সাজার বিধানগুলি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে পি পারদিওয়ালার বেঞ্চ এই মামলার শুনানি স্থগিত করেছে। তার আগে এই মামলায় কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানি শীর্ষ আদালতকে বলেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ ধারা-সহ রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের আওতায় থাকা বিভিন্ন ধারাগুলি পরীক্ষা করার কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র। সেই প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’’
[আরও পড়ুন: ‘হিন্দুবিরোধী মন্তব্য করলেই গুলি করে মারব’ কর্ণাটকে বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে]
ঔপনিবেশিক জমানার বিধানগুলির প্রয়োজনীয় বদল করা হতে পারে বলেও জানান তিনি। ১৮৭০ সালে ব্রিটিশ শাসনকালে এই আইন কার্যকর হয়। সেই সময়ে এটি ব্রিটিশ সরকারের বিরোধীদের ব্যবহার করা হত। যারা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করত, তাদের এই আইনে বিচার করা হত। যদি কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়, তবে তিনি সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। রাষ্ট্রদ্রোহ একটি জামিন অযোগ্য অপরাধ। অপরাধের ধরন অনুযায়ী তিন বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে।
২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় ৩৫৬টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ৫৪৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং মাত্র ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে শুনানির সময়, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে এই আইনটি পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল এবং এটি না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় কোনও মামলা নথিভুক্ত করা উচিত নয়। সেই নির্দেশমতোই কেন্দ্র আদালতকে নিজের অবস্থান জানিয়ে দিলে স্পষ্টভাবে।