সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও কারণে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসছেন ‘পাক বধূ’ সীমা হায়দার। এবার প্রতিবেশী অশালীন ভাষায় আক্রমণ করায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘অসম্মানজনক’ ভিডিও ভাইরাল হতেই আইনি পদক্ষেপ করছেন সীমা।
ভারতীয় যুবক শচীনের প্রেমে পড়ে স্বামী, সংসার ছেড়ে চার সন্তানকে নিয়ে পাকিস্তান থেকে নয়ডা পালিয়ে আসেন সীমা (Seema Haider)। বেআইনি ভাবে তাঁর ভারতে আসা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় দুই দেশে। ভারতীয় শচীনের সঙ্গে বিয়ে করে বর্তমানে একেবারে হিন্দু পরিবারের বধূ হয়ে উঠেছেন তিনি। ত্যাগ করেছেন বিরিয়ানি। মন দিয়েছেন তুলসি পুজোয়। তবে পুলিশের সন্দেহের হাত থেকে নিস্তার পাননি সীমা। তিনি আইএসআই চর কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবার তিনি অভিনয় জগতে পা রাখবেন শুনেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল মহারাষ্ট্র নবনির্মান সেনা। রীতিমতো হুমকির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। প্রতিবেশীরাও যে তাঁকে শান্তিতে সংসার করতে দিচ্ছেন না, এবার সেই বিষয়টি সামনে এল।
[আরও পড়ুন: ‘আগামী বছর এখানেই আপনাদের সামনে আসব’, লালকেল্লার ভাষণে INDIA-কে বার্তা মোদির]
সীমার আইনজীবী এপি সিং জানিয়েছেন, মিথিলেশ ভাটি নামের ‘পাক বধূ’র প্রতিবেশী শচীনকে ‘লাপ্পু’, ‘ঝিঙ্গুর’ বলে কটাক্ষ করেন। অর্থাৎ কীটপতঙ্গের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে শচীনকে। মিথিলেশের এহেন অসম্মানজনক কথাবার্তার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর সেই কারণেই মিথিলেশের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সীমার আইনজীবীর আরও দাবি, এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করে মিথিলেশ শুধু শচীনকে নয়, প্রতিটি স্বামীকেই অসম্মান করেছেন। আর সেই কারণেই আইনি পদক্ষেপ করা হবে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিথিলেশ।