সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পাক বধূ’ সীমা হায়দর ভারত-পাকিস্তান দুই দেশে পরিচিত নাম। অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে গ্রেটার নয়ডার বাসিন্দা শচীন মীনার প্রেমে পড়েছিলেন। এর পর নেপাল হয়ে ভারতে আসেন। শচীনের সঙ্গে ঘর বাঁধেন। নতুন খবর হল সীমার প্রাক্তন স্বামী গুলাম হায়দর মীনা দম্পতিকে সংসার ভাঙার অপরাধে তিন কোটি টাকা খেসারত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এই মর্মে নোটিসও পাঠিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি শচীন-সীমাকে ‘ক্ষমা’ চাইতে হবে বলেও দাবি করেছেন।
ভারত ও পাকিস্তানের (Pakistan) একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর, মীনা দম্পতি ভারতীয় মুদ্রায় তিন কোটি টাকা খেসারত না দিলে কঠিন আইনি ব্যবস্থা নেবেন গুলাম। এবারেও নোটিস পাঠিয়েছেন আইনজীবী আলি মোমিনের মাধ্যমে। যেখানে আর্থিক জরিমানা ছাড়াও গোটা ঘটনার জন্য এক মাসের মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে সীমা ও শচীনকে। উল্লেখ্য, পাকিস্তান থেকে চার সন্তানকে নিয়ে ভারতে এসেছিলেন সীমা। সন্তানদের কাছে পেতে মানবাধিকার কর্মী আনসার বরনির দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুলাম। আনসারই এই মামলায় আইনজীবী মোমিনকে নিযুক্ত করেন। এর পর ওই আইনজীবী নোটিস পাঠালেন মীনা দম্পতিকে।
[আরও পড়ুন: পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে অ্যাসিড হামলার শিকার ৩ ছাত্রী! গ্রেপ্তার এমবিএ ছাত্র]
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন ৩০ বছরের সীমা হায়দর। ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল নেপাল বর্ডার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তার আগে নেপালের পশুপতিনাথ মন্দিরে সাত পাকে বাঁধা পড়েন শচীনের সঙ্গে। অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য ৪ জুলাই গ্রেপ্তার হন সীমা। তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিরও অভিযোগ উঠেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত জেল থেকে ছাড়া পান সীমা। মাঝে জানা গিয়েছিল, শচীনের সন্তানের মা হতে চলেছেন। এর মধ্যেই খারাপ খবর- প্রাক্তন স্বামীর আইনি নোটিস পেলেন ইন্দো-পাক দম্পতি।