সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া ও ইউক্রেনের (Ukraine) মধ্যে যুদ্ধ যেন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। পরিস্থিতি ঘোরাল করে একদা সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশটির দু’টি অঞ্চলকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করে মস্কো। আর এই সংঘাতের আঁচ পড়েছে ভারতের শেয়ার বাজারে। দিনের শুরুতেই সেনসেক্স পড়ল প্রায় ১২০০ পয়েন্ট। অনেকটাই নেমেছে নিফটিও।
[আরও পড়ুন: দ্বিখণ্ডিত ইউক্রেন, বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক-লুহানস্ককে স্বাধীন ঘোষণা রাশিয়ার]
মঙ্গলবার বাজার শুরু হতেই ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের প্রভাব বুঝতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। বিগত কয়েকদিন ধরেই সূচকের ওঠা নামা চলছিল। তবে সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণা শোনার পরই মঙ্গলবার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এদিন প্রায় ১ হাজার ২০০ পয়েন্ট পতনের পর সেনসেক্স দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৫৯৯ পয়েন্টে। প্রায় ৩০০ পয়েন্ট পতনের পর নিফটি দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮৮০-তে। ‘কোটাক সিকিউরিটিজ’-এর কর্তা শ্রীকান্ত চৌহানের কথায়, বাজারে অনিশ্চয়তা রয়েছে।কিছুটা সংশয়ে ভুগছেন বিনিয়োগকারীরা। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের কারণে বিগত দিনে বাজারে এই ডামাডোল চলছে। তবে মিডিয়া ও মেটাল স্টকগুলির ক্ষেত্রে প্রফিট বুকিং দেখা যাচ্ছে। ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্সিয়াল স্টকগুলির ক্ষেত্রেও আগ্রহ দেখা গিয়েছে।
সোমবার রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দিল রাশিয়া। ফলে ক্রিমিয়ার পর আবারও বিভক্ত হল ইউক্রেন। এহেন চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠকে বসেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা বৈঠক। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি। কূটনৈতিক মহলের আশঙ্কা, এই পদক্ষেপের ফলে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর সরকারের সঙ্গে সঙ্ঘাত শুরু হতে পারে রাশিয়ার। ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার সেনাবাহিনী প্রবেশ করেছে বলেই খবর। এদিকে, এই ঘোষণার পরই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাকা ওই দুই প্রদেশের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে ঘোষণা করেছে আমেরিকা। আর সবমিলিয়ে এর প্রভাব পড়েছে শেয়ার মার্কেটে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সেখানে আমেরিকার প্রতিনিধি রাশিয়ার নিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগে সরব হয়েছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করার জন্য আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করব। আমাদের এবং মিত্র দেশগুলির কাছে পরিস্থিতি খুব স্পষ্ট। ইউক্রেনে যদি রাশিয়া আরও আগ্রাসন চালায় তাহলে আমরা প্রবল জবাব দেব।” পালটা রুশ প্রতিনিধির জবাব, দোনবাস অঞ্চলে রক্তপাত মেনে নিতে পারে না রাশিয়া। এই বিষয়ে অত্যন্ত নেতিবাচক ভূমিকা পালন করছে পশ্চিমের দেশগুলি।