সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি দখলের লড়াইয়ে পরাস্ত কেজরি সরকার! এবার রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল বিতর্কিত দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল, ২০২৩। বিরোধীদের তুমুল প্রতিবাদ সত্ত্বেও সোমবার রাতে সংসদের উচ্চকক্ষে ভোটাভুটি শুরু হয়। বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৩১ জন সাংসদ। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১০১টি।
এদিন, রাজ্যসভায় বিতর্কিত দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লোকসভায় এই বিল আগেই পাশ হয়ে গিয়েছে। ফলে রাজ্যসভায় মোদি সরকারকে ঘিরে ফেলার ছক ছিল বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের। তবে স্রেফ অঙ্কের হিসেবেই শাসকদল যে রণে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল তা বোঝাই যাচ্ছিল। তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সোমবার ইন্ডিয়া জোটের প্রথম ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের সাক্ষী থাকে সংসদের উচ্চকক্ষ। প্রথম রাউন্ডে গেরুয়া শিবির বাজিমাত করলেও জোটের সঙ্গে লড়াই যে সহজ হবে না তারই ইঙ্গিত মিলেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়ে এদিন রাজ্যসভায় হুইলচেয়ারে করে পৌঁছে যান নবতিপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
এদিকে, রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হওয়ায় অমিত শাহকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে খোঁচা দিয়ে পশ্চিম দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ প্রবেশ সাহিব সিং দিল্লিবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: অসুস্থতার দোহাই দিয়েও মিলল না জামিন, দিল্লির আদালতে খারিজ অনুব্রতর আরজি]
গত বৃহস্পতিবারই লোকসভায় এই বিল পাশ হয়। তারপরেই সভাকক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। উল্লেখ্য, সেই ২০১৮ সাল থেকে উপরাজ্যপালের ক্ষমতা এবং দিল্লি (Delhi) সরকারের সীমাবদ্ধতার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। সেই মামলায় ৫ সদস্যের এক সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন হয়। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, উপরাজ্যপাল নয়, আসল প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকা উচিত নির্বাচিত সরকার এবং মন্ত্রিসভার হাতেই।
সুপ্রিম নির্দেশের পরই The Government of CNCT of Delhi (Amendment) ordinance শীর্ষক একটি অধ্যাদেশ আনে কেন্দ্র। গঠন করা হয় ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল সিভিল সার্ভিসেস অথরিটি’। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি অ্যাক্ট, ১৯৯১-কে সংশোধন করে এই অধ্যাদেশ আনে মোদি সরকার।