সুকুমার সরকার, ঢাকা: কাশ্মীর থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) কক্সবাজারে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা বৃথা। দুই রোহিঙ্গা পরিবারের মোট সাত সদস্যকে আটক করল পুলিশ। উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ের লাম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ থেকে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের আটক করেছে বলে খব। ১৪-এপিবিএনের এসপি নইমুল হক জানান, আটক হওয়া রোহিঙ্গারা ভারতের জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) থেকে পালিয়ে এসেছেন কক্সবাজারে। ধৃতদের নাম সাজান, হামিদা বেগম, ইব্রাহিম, মোহাম্মদ তাহির, আনোয়ার কলিম, সাইমা, রমিনা। এদের মধ্যে সাইমা ও রমিনা শিশু।
ধৃতরা ভারত হয়ে পালিয়ে আসার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে দাবি। তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জের (সিআইসি) মাধ্যমে কুতুপালংয়ের ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন, ভারত থেকে কোনও রোহিঙ্গাকে (Rohingya) বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না। এলেও তাদের পুশব্যাক করা হবে। বিজিবিকে এ ব্যাপারে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। ভারত সরকারকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সেইমতোই ভারত থেকে কক্সবাজারে (Cox’s Bazar) পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের আটক করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় হিসেবে নয়া নজির, গুজরাট চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ইতিহাস গড়লেন আশিস নেহরা]
অন্যদিকে, কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা শিবিরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ২ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন ১৬ এপিবিএন। উনচিপ্রাং ক্যাম্পের ডি ব্লকের পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। উনচিপ্রাং ক্যাম্প-২৩ এর ব্লক-ডি/৩ এর ৮ বছরের এক রোহিঙ্গা শিশুকে প্রলোভন দেখিয়ে ধৃতরা লম্বাবিল এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। বিকেলে শিশুটি ঘরে এসে তার মাকে ঘটনা জানায়।
[আরও পড়ুন: মিশন ২০২৪, দুর্বল সংগঠন সামলাতে শাহকে শীর্ষে রেখে বিজেপির ‘টিম বাংলা’]
এছাড়া টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও গুলি-সহ একজনকে আটক করেছে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে একটি একটি এলজি ও দুটিগুলি উদ্ধার করা হয়।